#কলকাতা: শ্যামবাজারে করোনা আতঙ্কে পড়ে রইল বৃদ্ধার দেহ। করোনা আতঙ্ক পাল্টে দিয়েছে মানসিকতা। তাই রাস্তা থেকে দেড় গজ দূরে পড়ে রইল সত্তরোর্ধ ছায়া চট্টোপাধ্যায়ের দেহ। শ্যামবাজার পাঁচ মাথা মোড় থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে বৃন্দাবন পাল লেন। কয়েকদিন ধরেই পচা দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়তে থাকে। রবিবার সকাল থেকে কটু গন্ধ আরও তীব্র হয়।
বৃন্দাবন পাল লেনে দীর্ঘদিন ভাড়ায় থাকতেন ছায়াদেবী। ১৫ বছর আগেই স্বামী প্রয়াত। নিকট আত্মীয় বলতে তেমন কেউ নিয়ে। পায়ের ঘা থেকে গ্যাংরিন। গত ৫-৬ দিন ধরে কষ্ট পাচ্ছিলেন। কিন্তু করোনা আতঙ্ক সবকিছু পাল্টে দিয়েছে। ছায়া দেবীর চিকিৎসা না পাওয়ার অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। মুত্যুর পর দেহ পড়ে রইলেন ঘরের দরজায়। শ্যামপুকুর থানার পুলিশ যখন দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় তখন ঘড়ির কাঁটা বিকেল ৪টে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশ কর্মী জানাচ্ছেন, করোনা সবকিছু বদলে দিয়েছে। বৃদ্ধার করোনা আছে না নেই কেউ জানেনা। তাই কোভিড ১৯ সম্ভাবনা জুড়ে দেহ উদ্ধার করতে হচ্ছে। তাই কিছুটা সময় লেগেছে খবর পাওয়ার পর। বৃদ্ধার দেওর অমিত চট্টোপাধ্যায় জানান, ' বৌদি একাই থাকতেন। আমার সঙ্গে কোনও সম্পর্ক ছিলনা। হোম ডেলিভারি আনিয়ে খেতেন। পুলিশকে খবর দেওযা হয় সকাল সাড়ে নটা নাগাদ। করোনার জন্য হাত দিতে ভয় করছে।"
বাড়ি মালিক মৌসুমী মান্না থাকেন দোতলায়। দুর্গন্ধ নিয়েই ৪ দিন কাটছে তাদের বলে জানান। তাঁর কথায়, ' ২৩ জুলাই পুলিশকে জানাই পচা দুর্গন্ধ বেরোচ্ছে। ওনার পা পচে গিয়েছে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতে অনুরোধ করি। কিন্তু পুলিশের সেভাবে সাহায্য পাইনি। করোনা আতঙ্কের জন্য আমাদেরও হাত দিতে ভয় লাগছে। "দিনের শেষে বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে আর জি কর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, ততক্ষণে তো সব শেষ।
Arnab Hazra