#শিলিগুড়ি: গ্রাফ উর্ধমুখীই রইলো! গ্রামীন এলাকাতেও বাড়ছে সংক্রমণ! মাটিগাড়া ও নকশালবাড়িতে বেড়েই চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা। র্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট শুরু হওয়ায় আক্রান্তদের চিহ্নিত করা যাচ্ছে। জেলা হাসপাতাল এবং উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পাশাপাশি এবারে লালা রসের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে মাটিগাড়া এবং নকশালবাড়ি ব্লকেও। আর তাই বাড়ছে সংক্রমণ। এমনটাই দাবি স্বাস্থ্য কর্তাদের।
প্রতিদিনই এই দুই ব্লকে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা! স্বাভাবিকভাবেই এই দুই এলাকায় বাড়ছে উদ্বেগও। তবে একদিকে ভালো যে আক্রান্তদের চিহ্নিত করা যাচ্ছে এবং চিকিৎসা করানোর সুযোগও মিলছে। র্যাপিড টেস্ট জেলার অন্যত্রও দ্রুত শুরু হবে। এবং তাহলে সংখ্যাটাও বাড়তে থাকবে। উৎকণ্ঠা বাড়লেও পাশাপাশি সুস্থতার হারও বাড়বে। উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সুপার কৌশিক সমাজদার জানান, আগামী সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত কঠিন সময়ের মধ্যে যেতে হবে। এই সময়ে স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশগুলো মেনে চলতে হবে। তাহলে কিছুটা হলেও গ্রাফ নামতে পারে। একেই আনলক থ্রি চলছে।
রাজ্যজুড়ে সাপ্তাহিক লকডাউন ছাড়া স্থানীয় জেলা প্রশাসনের ডাকে এলাকা ভিত্তিক কোনো লকডাউন নেই। তাই সাবধানতাই একমাত্র হাতিয়ার! গত ২৪ ঘন্টায় শিলিগুড়ি পুরসভার ৪৭টি ওয়ার্ড এবং দার্জিলিংয়ের পাহাড় ও সমতল মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ১৩৮ জন! গতকালের তুলনায় কিছুটা কম। কার্যত অপরিবর্তিত। এর মধ্যে পুর এলাকায় নতুন করে আক্রান্ত ৮০ জন। যার মধ্যে ৩৩টি ওয়ার্ডে ৪৬ জন এবং সংযোজিত ১৪টি ওয়ার্ডে ৩৪ জন! এখোনো র্যাপিড টেস্ট শুরু হয়নি। এরপরেও শহরবাসী সচেতন না হলে বিপদ বাড়বে। গ্রামীন এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪৯ জন। এর মধ্যে মাটিগাড়ায় ৩৪, নকশালবাড়িতে ১৩ এবং খড়িবাড়িতে আক্রান্ত ২ জন। পাহাড়েও সংখ্যাটা অপরিবর্তিত। নতুন করে আক্রান্ত ৯ জন। কার্শিয়ংয়ে ৫ জন, শৈলশহর দার্জিলিংয়ে ৩ এবং মিরিকে ১ আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। এদিকে এদিন শিলিগুড়ির দুই কোভিড হাসপাতাল এবং হোম আইশোলেশনে থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩৮ জন।
Partha Sarkar
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirus, Siliguri