#নয়াদিল্লি: পরিস্থিতি যতই প্রতিকূলে চলে যাক না কেন, মানুষ সহজে হার মেনে নেয় না। তার এই বৈশিষ্ট্যই তাকে জীবজগতে মহান করে তুলেছে। আপাতত দেশ করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় তরঙ্গে টালমাটাল হলেও পরিস্থিতির মোকাবিলায় কেন্দ্র এবং রাজ্যগুলো সদা তৎপর। চিকিৎসকরা সবাই বলছেন যে যদি সুস্থ থাকতে হয়, তাহলে কোভিড ১৯-এর ভ্যাকসিনের ডোজ নিতেই হবে। কেন্দ্রও এই ব্যাপারে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে রাজ্যগুলোর দিকে। জানা গিয়েছে যে এখনও পর্যন্ত দেশের নানা রাজ্যে প্রায় ৭ কোটি কোভিড ১৯ ভ্যাকসিনের ডোজ পাঠিয়েছে। কিন্তু জানা গিয়েছে যে এর মধ্যে ৬.৫ শতাংশ ভ্যাকসিন নষ্ট হয়ে গিয়েছে উপযুক্ত পরিকল্পনা এবং তার বাস্তবায়নের অভাবে।
এই জায়গা থেকে সম্প্রতি রাজ্যগুলোকে ভ্যাকসিনের জোগান নিয়ে এক তালিকা তৈরি করতে বলেছে কেন্দ্র। নির্দেশ দিয়েছে যে সব বেসরকারি ভ্যাকসিন প্রদান কেন্দ্রগুলোকে কিছু নির্দিষ্ট তথ্য সরকারের কাছে জমা দিতে হবে। জানাতে হবে যে তাদের কাছে কোভিড ১৯ বিরোধী কোন ভ্যাকসিন রয়েছে এবং তা কী পরিমাণে রয়েছে। এখানেই শেষ নয়, সেই ভ্যাকসিন গ্রহণের জন্য কত দাম দিতে হচ্ছে, সেটাও জানাতে হবে। এই সব তথ্য আপলোড করা হবে সরকারের আরোগ্য সেতু এবং CoWin অ্যাপে। ফলে ১ মে থেকে যখন ১৮ বছর থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে বয়স যাঁদের, সেই সব ব্যক্তিদের ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শুরু হয়ে যাবে, তখন সবাই বয়স নির্বিশেষে পাবেন এক অভিনব সুবিধা। তাঁরা অ্যাপে প্রদত্ত তথ্য থেকে যেমন কাছাকাছি থাকা ভ্যাকসিন সেন্টার বেছে নিতে পারবেন, তেমনই কোন ভ্যাকসিন নেবেন সেটাও বেছে নেওয়া সম্ভব হবে।
ভারতে এই মুহূর্তে দু'টি তোভিড ১৯ বিরোধী ভ্যাকসিন পাওয়া যাচ্ছে। একটি Covishield এবং অপরটি Covaxin। কাদের কোন ভ্যাকসিন স্যুট করবে, কোন ভ্যাকসিন কাদের নেওয়া উচিত হবে না, এই নিয়ে বিস্তারিত তথ্য দুই ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থাই নিজেদের ওয়েবসাইটে আপলোড করে রেখেছে। সেই সব তথ্যে চোখ বুলিয়ে নিয়ে এবার নিজের পছন্দের ভ্যাকসিন বেছে নেওয়া সম্ভব হবে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Covaxin, Covishield