#পটনাঃ করনার দ্বিতীয় ঢেউ (Second wave COVID-19) যেভাবে আছড়ে পড়েছে, তাতে বয়স, আর্থিক সংস্থান বা সামাজিক বৈষম্য বা ধর্মের ভেদাভেদ কিছুই মানছে না। কাউকেই যেন ছেড়ে কথা বলছে না এই মারণ ভাইরাস (Coronavirus)। তার ওপরে সংকট বাড়িয়েছে অক্সিজেনের (Oxygen) ব্যাপক ঘাটতি। প্রায় প্রতিদিনই অক্সিজেনের অভাবে দেশের নানা প্রান্ত থেকে বহু রোগীর মৃত্যুর (Covid Patients Death) খবর সংবাদের শিরোনামে উঠে আসছে। অসহায়ের মতো পৃথিবীর সুস্থ হওয়ার আশায় দিন গুনছে সাধারণ মানুষ।
অক্সিজেনের ঘাটতি (Thousands have been gasping for oxygen) যেভাবে মাঝরাতে ঘুম ভাঙিয়ে সাধারণ মানুষকে দুঃস্বপ্নের মতো তাড়া করে বেড়াচ্ছে, তেমনই প্রতিদিন ঝড়ের গতিতে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় হাসপাতালে বেডের অপ্রতুলতা বুঝিয়ে দিচ্ছে এখনই আরও সাবধান না হলে, সামনে ভয়ানক বিপদ আসন্ন। বর্তমানে দেশের যা পরিস্থিতি তাতে, প্রায় প্রতি রাজ্যের অবস্থা কমবেশী সমান। কোথাও হাসপাতালে বেড নেই, কোথাও আবার সংক্রমনের বৃদ্ধি এতটাই লাগাম ছাড়া যেখানে, স্ট্রেচার পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছে না। যেমনটা ঘটেছে এ দিন ঝাড়খন্ডে (Jharkhand)।
এই মুহূর্তে ঝাড়খণ্ডের যা পরিস্থিতি তাতে রোগীর জন্য বেড কেন, একটা স্ট্রেচার পাওয়াও কার্যত একপ্রকার অসম্ভব। ফলে কোনও উপায় না পেয়ে করোনা আক্রান্ত রোগীকে হাসপাতালের ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়া হয়েছে স্কুটিতে চাপিয়ে। এই ঘটনাটি ক্যামেরাবন্দি করে রাজ্যের পরিস্থিতি বোঝানোর চেষ্টা করেন কোনও এক নেটাগরিক। মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সেই ভিডিও (Viral Video)। ঘটনাটি পালামউ মেদিনিরাই মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের (Palamu's Medinirai Medical College and Hospital)। ঘটনাটি সামনে আসতেই রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, হাসপাতালের ওয়ার্ডের মধ্যে এক অসুস্থ রোগীকে তিন যুবক একটি স্কুটিতে চাপিয়ে দিচ্ছেন। এরপর সামনে পিছনে দু'জন বসে তাঁকে কোথাও নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। রোগীর মুখে মাস্ক, তবে অসুস্থতায় স্কুটি থেকে নেতিয়ে পড়ছেন তিনি। তবে তাঁকে স্কুটিতে চাপিয়ে কথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তা অবশ্য স্পষ্ট নয়।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirus, Patna