নয়াদিল্লি: ঔপনিবেশিক সময়ে ব্রিটিশ বিরোধিতা তীব্র হয়েছিল কলেরার টিকা নেওয়াতে কেন্দ্র করে। কোম্পানির কর্মীরা ঘরে ঢুকে বাড়ির মেয়েদের টিকা দিতে পারে, এই দুর্ভাবনাই ছিল ব্রিটিশ বিরোধিতার বীজ। আজ এই করোনা আবহে সেই প্রশ্নটাই যেন ফিরে আসছে। সকলকে কি বাধ্যতামূলক ভাবে টিকা নিতেই হবে?
নিউজ ১৮-কে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের এক শীর্ষকর্তা বলছেন,না কাউকে ইচ্ছের বিরুদ্ধে টিকা নেওয়ার দরকার নেই। ওই ব্যক্তির কথায়, "এটা গণতন্ত্র। কোনও ব্যক্তি যদি প্রায়োরিটি গ্রুপের মধ্যে পড়েন এবং করোনা টিকার জন্য অগ্রগণ্য হিসেবে বিবেচিত হন, তার পরেও ভ্যাকসিন নিতে তিনি বাধ্য নন।"
বিহার নির্বাচনের সময়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, করোনা টিকা পাবে প্রত্যেক ভারতবাসী। কিন্তু এখন অন্য কথা বলছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কর্তারা। তাঁদের কথায়, সকলকে ভ্যাকসিন দেওয়ার দরকার নেই। সরকারি সহায়তায় তাদেরকেই ভ্যাকসিন দেওযা হবে যাঁরা ঝুঁকিমূলক অবস্থায় রয়েছেন। অন্য সুস্থ ব্যক্তিদের টিকা কিনে নিতে হবে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণর কথায়, দেশের সব মানুষকে প্রতিষেধক দেওয়ার কথা সরকার বলেনি। এ ব্যাপারে তথ্য জোগাড় করছি আমরা।
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের ডিজি বলরাম ভার্গব বলেন, প্রতিষেধকের কার্যকারিতার উপর এই বিরাট উদ্যোগের সাফল্য নির্ভর করছে। আমরআ চাইছি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব করোনা সংক্রমণের শৃঙ্খল(চেন) ভাঙতে। সে ক্ষেত্রে সবাইকে টিকা নিতে হবে না। "
কী ভাবে ভাঙবে এই চেন? বলরাম ভার্গভের কথায়, "মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। এখন আলোচনা চলছে যাদের শরীরে ইতিমধ্যেই অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে তাদের টিকাকরণ কর্মসূচির আওতায় আনা হবে কিনা তাই নিয়ে।" বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টিকাকরণ চললে যারা প্রতিষেধক পাননি তারাও সুরক্ষা বলয়ের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যান। আপাতত সেই পথেই হাঁটতে চাইছে কেন্দ্র।