#নয়াদিল্লি: সম্প্রতি ব্রিটেনের করোনাতঙ্ক নতুন করে বিশ্বের বুকে কাঁপুনি ধরিয়ে দিয়েছে৷ মারণ ভাইরাসের নতুন স্ট্রেন (প্রজাতি) যেভাবে সংক্রামিত হচ্ছে তাতে করে ভাবতে বাধ্য হয়েছে ভারতও৷
সোমবার জরুরিভিত্তিতে বৈঠকও তলব করেছিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। দেশের করোনা পরিস্থিতির উপর নজর রাখা জয়েন্ট মনিটরিং গ্রুপ ওই বৈঠকের ডাক দিয়েছিল। কিন্তু ব্রিটেনের করোনা নিয়ে দেশবাসীর আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই বলেই সাফ জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন৷
এদিন ইন্ডিয়া সায়েন্স ফেস্টিভ্যাল থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে হর্ষ বর্ধন বলেন, "দেখুন এই মুহূর্তে মনের মধ্যে কাল্পনিক পরিস্থিতি, কর্থাবার্তা ও ছবি তৈরি করে নেওয়ার কোনও মানে নেই৷ সরকার পুরোপুরি সতর্ক রয়েছে এই ব্যাপারে৷ শেষ এক বছরে সবাই দেখেছে যে, করোনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে আমরা দেশের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি৷ আমি বলব আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই৷"
পরিচিত চেনা করোনার থেকে নতুন ভাইরাস আরও ৭০ শতাংশ বেশি সংক্রামক। গত দু’সপ্তাহ ধরেই ইংল্যান্ডে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছেই চলেছে। সেখানে শুরু হয়েছে আংশিক লকডাউনও৷ সকলকে ঘরে থাকার পরামর্শই দেওয়া হয়েছে৷ এমনকী নয়া করোনা ভাইরাসের প্রকোপ থেকে বাঁচতে আন্তর্জাতিক উড়ানেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সৌদি আরব, কানাডা ও একাধিক ইউরোপের দেশে৷
এদিন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল টুইট করে বলেছেন নতুন করোনা 'সুপার স্প্রেডার'৷ কেন্দ্রের কাছে তিনি আবেদন করেছেন যেন অবিলম্বে লন্ডনের সব উড়ান বাতিল করা হয় ভারতে৷
আচমকাই করোনার লাগামছাড়া বৃদ্ধিতে মাথায় হাত ব্রিটেনের। সার্স কোভিড টু-ই এক নতুন জিন গঠন নিয়ে জেটগতিতে ছড়িয়ে পড়ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। ক্রিসমাসের আগে নতুন কোভিড ঢেউয়ের ভয়ে অস্ট্রিয়া, ইতালি, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে ব্রিটেনের সঙ্গে।
এই পরিস্থিতিতে বরিস জনসন ক্রিসমাসের মধ্যে নিয়ম শিথিল করার ঝুঁকি নিতে চাইছেন না। ব্রিটেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রবিবারই জানান, ইংল্যান্ডের দক্ষিণাংশে অসম্ভব দ্রুত ছড়াচ্ছে করোনার নতুন স্ট্র্রেইন। স্বাস্থ্যসচিব ম্যাট হ্যানককও আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, দেশের করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ জায়গায় পৌঁছছে।