হোম /খবর /কলকাতা /
নববর্ষ সোনার দাম কত, খোঁজ রাখছেন না কেউ! লকডাউনে শ্রীহীন সোনাপট্টি

নববর্ষে সোনার দাম কত, খোঁজ রাখছেন না কেউ! লকডাউনে শ্রীহীন সোনাপট্টি

বাঙালির জীবনে ধনতেরাস আসার অনেক আগে থেকেই বৈশাখের শুরুতেই সোনার অলংকার কেনার শখ ছিল। দুপুর থেকেই তাই সেজে উঠত বউবাজার। একের পর এক দোকানে ঝলমল করত মায়াবী আলো।

  • Share this:

#কলকাতা: সকালে পুজো। বিকেলে অতিথি আপ্যায়ন। হাল খাতায় ফের শুরু নতুন বছর। কথা ছিল এমনটাই হবে। কিন্তু তা আর হলো কই? বউবাজারের ট্রাম লাইন ধরে হেঁটে গেলে চোখ আটকাচ্ছে। শাটার নামানো দোকান। হতাশ চেহারা। আর নতুন বছরের ইতিহাস মনে রাখা। এভাবেই সোনালি ইতিহাস আটকে বউবাজারের সোনা পট্টিতে। গত বছরের সুড়ঙ্গ সমস্যা আর এবছরের করোনা। ধুঁকছে কলকাতার সোনাপট্টি।

বাংলা বছরের শুরু শুধুমাত্র একটা উৎসব নয়। চৈত্রের শেষে আর বৈশাখের শুরুতে ব্যবসার ঝাঁপি খুলতে শুরু করে সোনার বাজার। বাঙালির জীবনে ধনতেরাস আসার অনেক আগে থেকেই বৈশাখের শুরুতেই সোনার অলংকার কেনার শখ ছিল। দুপুর থেকেই তাই সেজে উঠত বউবাজার। একের পর এক দোকানে ঝলমল করত মায়াবী আলো। দোকানের ভেতরে নানা রকম কারুকার্য শোভিত হার, বালা, দুল। নোটবন্দি হোক বা জিএসটি বউবাজারে সাময়িক সমস্যা হলেও ভেঙে পড়েনি ব্যবসা৷

সমস্যার প্রথম সূত্রপাত হয় ২০১৯ এর মেট্রো সুড়ঙ্গ খনন করতে গিয়ে। ভেঙে পড়ে একের পর এক বাড়ি। বন্ধ থাকে দোকান। ব্যবসা প্রায় লাটে ওঠে সোনার দোকানের মালিকদের। সমস্যায় পড়েন যারা এই সমস্ত দোকানে কাজ করেন তারাও। দীর্ঘদিন কাজ না থাকায় রোজগার প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। পেটের ভাত জোগাতে হিমশিম খেতে হয় তাদের। স্বণ শিল্প সংগঠনের অন্যতম নেতা বাবলু দে জানাচ্ছেন, "ব্যবসার যা অবস্থা তা তো অত্যন্ত খারাপ। তবে সবচেয়ে চিন্তার বিষয় হল আমাদের যারা সাধারণ সহকর্মী রয়েছেন তাদের ভবিষ্যত নিয়ে। তাদের চাকরি সুরক্ষিত রাখা ও বেতন যাতে না কাটা হয় সেই দিকে আমরা নজর রাখছি।"

ইতিমধ্যেই তাদের সংগঠনের তরফ থেকে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের কাছে সাহায্য চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। গোটা রাজ্যে প্রায় ১০ হাজার সোনার দোকান আছে। এই পেশার সাথে জড়িত আছেন প্রায় আড়াই লাখ মানুষ। তাদের নিয়েই ফাঁপড়ে পড়েছেন তারা। শুধু বউবাজারেই দোকান আছে প্রায় সাড়ে তিনশো। এছাড়া একাধিক ছোট বড় কারখানা আছে। এর সবই তালাবন্ধ।এমনই অবস্থা আজ কেউ হালখাতা বা লক্ষী-গণেশের পুজো অবধি করেনি। বাবলু বাবুর নিজের দোকান আছে। তিনি জানাচ্ছেন, "আমরা প্রায় ৫০০০ মানুষকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। তার মধ্যে যদি ১০ শতাংশ লোক আসত তাহলেও ব্যবসা দাঁড়িয়ে যেত।" প্রসঙ্গত গতবছর সুড়ঙ্গ খননের সময় বাড়ি ভেঙে পড়ায় ধনতেরাস বা তার আগের পুজো কোনওটাতেই ব্যবসা হয়নি। আর এবার করোনার জেরে দীপ নিভেছে বউবাজারের।

Published by:Pooja Basu
First published:

Tags: Bowbazar, Gold Price, Lockdown