#কলকাতা: বয়সটা খেলাধুলার ও পড়াশোনার। কিন্তু করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ও এক মাসেরও বেশি সময় সীমা ধরে চলতে থাকা লকডাউন। তার জেরে ১১ বছরের সোমনাথ হালদারকে পরিবার চালাতে একপ্রকার বাধ্য হয়েই বিক্রি করতে হচ্ছিল ফল। রবিবার এইরকমই ঘটনার সাক্ষী থাকে উত্তর ২৪ পরগনা বারাসাত এর হৃদয়পুর স্টেশন সংলগ্ন এলাকা।
দেখা যায় স্টেশন সংলগ্ন শনি মন্দিরের পাশেই ডাব আপেল বেদানা বিক্রি করছে উদয়রাজপুর হরিহরপুর হাই স্কুলের ১১ বছরের এই ছোট্ট শিশুটি। সোমনাথের থেকে জানতে চাওয়া হলে গতকাল সে জানায় " আমার বাবা নেই। মা বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করেন। তাই ফল বিক্রি করতে হচ্ছে।" রবিবার এই খবর তুলে ধরা হয় News18 বাংলা ডিজিট্যালে । খবরটি সম্পর্কে জানানো হয় বারাসাতের পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় কেও। খবরটি দেখেই তৎক্ষণাৎ পুলিশ সুপারের নির্দেশে বারাসাত থানা এই ১১ বছরের সোমনাথের পাশে দাঁড়ায়। রবিবার রাতেই সোমনাথের পরিবারকে চাল ডাল ও অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী দিয়ে সহযোগিতা করা হয়।
করোনা যুদ্ধে যতই লকডাউন এগোচ্ছে ততই বাড়ছে দারিদ্রতা। এক মাসেরও বেশি সময় ধরে চলতে থাকা লকডাউন এর জেরে অনেকেই তাদের কর্মসংস্থান হারাচ্ছেন। আবার অনেকেই তাদের ব্যবসা পরিবর্তন করে অন্যান্য ব্যবসা করা শুরু করেছেন। অনেক রিক্সা চালক,টোটো চালকরা সংসার বাঁচাতে শুরু করেছে সবজির ব্যবসা। কিন্তু তারই মাঝে বারাসাত সংলগ্ন হৃদয়পুর স্টেশন এই এক অন্য ছবি ধরা পড়ল। রবিবার বিকেলে স্টেশন সংলগ্ন শনি মন্দির এর পাশেই দেখা গেল এক শিশু অস্থায়ী দোকান করে ফল বিক্রি করছে। জিজ্ঞাসা করাতে জানা গেল উদয়রাজপুর হরিহরপুর হাই স্কুলে পড়াশোনা করো সোমনাথ হালদার। সংসার চালানোর জন্য করোনাভাইরাস কে উপেক্ষা করেই বিক্রি করতে হচ্ছে ফল।
রবিবার বিকেলে এই খবর দেখে অনেকেই শিশুটিকে সহযোগিতা করার হাত বাড়ান। তার মধ্যেই ঘটনাটি দেখে পুলিশ সুপারের নির্দেশে বারাসাত থানা এই শিশুটির পরিবারের পাশে দাঁড়ায়। রবিবার রাতেই বারাসাত থানার পুলিশের আধিকারিকরা সোমনাথের বাড়িতে গিয়ে চাল ডাল সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনে দেন। পুলিশের এই ভূমিকাতে খুশি সোমনাথের পরিবার।খুশি ১১ বছরের এই ছোট্ট শিশু সোমনাথ হালদারও। ফের ফল বিক্রি করতে যাবে নাকি এই প্রশ্নের উত্তরে সোমনাথ জানায়," আপাতত আমি পড়াশোনাটা করতে চাই।"
Somraj Bandopadhyay