#কলকাতা: গত সোমবার কলকাতার তিনটি ওয়ার্ডে একটি প্রোোজেক্ট শুরু করা হয়৷ মুখোমুখি আলোচনার মাধ্যমে নির্ধারণ করা হবে যে সাধারণ মানুষ কোভিড সুরক্ষার নিয়মবিধি মেনে চলার ক্ষেত্রে কতটা সচেতন। এটাই ছিল প্রজেক্টের মূল উদ্দেশ্য৷ এতে তিনটি ধাপ রয়েছে। প্রথম এবং শেষ ধাপে থাকছে সমীক্ষা, যেখানে উত্তরদাতাদের একই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হবে। দ্বিতীয় ধাপে, তিনটির মধ্যে দুটি ওয়ার্ডে প্রশিক্ষিত কর্মীরা যাবেন সপ্তাহে একদিন করে। এই প্রক্রিয়া চলবে টানা ছয় সপ্তাহ ধরে। এই ধাপে, কর্মীদের তরফ থেকে বাসিন্দাদের অবহিত করা হবে কোভিড নিয়মবিধি সপর্কে। এও বলা হবে, বাড়িতে কেউ অসুস্থ হলে তাঁদের কী করা উচিৎ।
এই প্রজেক্টের এক কর্মকর্তা বলেন, “একটি ওয়ার্ডে আমরা কোভিড-সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য এবং চিকিৎসা সম্পর্কে জানাব। অন্য একটি ওয়ার্ডে আমরা তথ্য দেব সীমিত। তৃতীয় ওয়ার্ডে, কোভিড নিয়ে কোনও তথ্য দেওয়া হবে না। প্রথম এবং শেষ ধাপের সমীক্ষা কিন্তু করা হবে তিনটি ওয়ার্ডেই।”
সমীক্ষার প্রশ্ন তৈরি করা হয়েছে এমন ভাবে, যাতে বোঝা সম্ভব হয় যে, কোভিড সম্পর্কে মানুষ কতটা অবহিত। এই প্রোজেক্টের অংশ হিসেবে যে ওয়ার্ড গুলিকে নির্বাচন করা হয়েছে, সেগুলি হল ৮১ (চেতলা), ১১ (হাতিবাগান) এবং ১০১ (পাটুলির কিছুটা অংশ)। এই প্রজেক্টের জন্য খরচ করবে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)। অন্যদিকে, এটি পরিচালনা করবে, কলকাতার লিভার ফাউন্ডেশন।
লিভার ফাউন্ডেশনের অধিকর্তা পার্থ সারথি মুখোপাধ্যায়ের কথায়, গত মঙ্গলবার পর্যন্ত ৮০০টি বাড়িতে গিয়েছেন প্রশিক্ষিত কর্মীরা। মোট আট সপ্তাহ চলবে এই কর্মকান্ড। তিনি আরও বলেছেন, “আমরা এই আশা নিয়ে এই প্রজেক্ট শুরু করেছি যে এটি মানুষকে কোভিডের বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করবে। এই মডেলের আওতায় পড়ছে, বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে সচেতনতা বাড়ানো, স্ক্রিনিং ও টেস্টিং, এবং প্রয়োজনমাফিক হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করা।” তিনি আরও বলেন, এই প্রজেক্ট যদি সফল হয়, তাহলে কোভিডের সঙ্গে লড়া অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে।
Antara Dey