শিলিগুড়ি: সপ্তাহের দ্বিতীয় লকডাউনে আরও শান্ত রইল পাহাড়! এক্কেবারে নির্জন। কখনও সবুজ পাহাড়ে মেঘের ভেলা, আবার কখনও কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়া! নিজের অপরূপতায় যেন মুগ্ধ পাহাড়! নেই কলরব! না আছে দূষণ! এই নিরালা শৈলশহর আজ যেন আরও আরও বেশি স্নিগ্ধ! করোনায় আরও অনন্যা হয়ে উঠেছে শৈলরাণী! দেখা নেই পর্যটকের। ভিড় নেই ম্যালেও! টাইগার হিলে সূর্যোদয় দেখারও লোক নেই! মন খারাপ হলেও করোনা ফ্রি জোন হিসেবেই মাথা তুলে দাঁড়াতে চায় পাহাড়।
আজ রাজ্যজুড়ে লকডাউনে একেবারে নিঝুম পাহাড়। মিরিক লেক থেকে কার্শিয়ংয়ের ডাউহিল! চকবাজার থেকে কালিম্পংয়ের ডেলো! যেদিকেই চোখ যায় শুধুই সবুজে মোড়া পাহাড়। মাঝে মধ্যে আবার উঁকি দিচ্ছে দুধ সাদা কাঞ্চনজঙ্ঘা! কিন্তু তা দেখার লোক নেই। পাহাড় আজ ফাঁকা। মাঝে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা শূন্যতে গিয়ে ঠেকেছিল। আনলক ওয়ানেও সংক্রমণ সেভাবে দাঁত ফোটাতে পারেনি। আনলক টু'তে দেশ, বিদেশের বিভিন্ন প্রান্তে আটকে থাকা পাহাড়বাসী ঘরে ফিরতেই ফের সংক্রমিত হতে শুরু করে পাহাড়। দার্জিলিং পুর এলাকা-সহ বেশ কয়েকটি গ্রামীন এলাকায় সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে।
ওপাশে কালিম্পং জেলাতেও বাড়তে থাকে আক্রান্তের গ্রাফ। হোটেল খুললেও বুকিং না আসায় ফের বন্ধ হয়ে যায়। আর নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ায় ঝুঁকি নিতে নারাজ জিটিএ। কাল অর্থাৎ রবিবার থেকে প্রথম দফায় টানা ৭ দিন পাহাড়ের একাধীক এলাকায় শুরু হচ্ছে লকডাউন। দার্জিলিং, কার্শিয়ং, মিরিক এবং কালিম্পং পুরসভা এলাকায় সম্পূর্ণ লকডাউন। আগামী শনিবার পর্যন্ত। এই তালিকায় পাহাড়ের পাঁচটি গ্রামীন বাজার এলাকাও সংযুক্ত হয়েছে।
সুকনা, তিনধরিয়া, সুখিয়া, পোখরিবং এবং বিজনবাড়ি বাজারেও লকডাউন চলবে টানা সাত দিন। এই পাঁচ বাজার এলাকায় সংক্রমণের হার তুলনায় বেশী। সবদিক খতিয়ে দেখেই টানা ৭ দিন লকডাউনের পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জিটিএ। গ্রাফ নামলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। নইলে লকডাউনের মেয়াদও বাড়তে পারে। সবই নির্ভর করছে করোনা পরিস্থিতির ওপর।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirus, COVID19, Darjeeling