#বর্ধমান: পূর্ব বর্ধমান জেলায় নতুন করে আরও কয়েকজন ডাক্তার নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। করোনা আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসায় বেশ কয়েকজন চিকিৎসক নার্স স্বাস্থ্যকর্মীকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। সব মিলিয়ে চিকিৎসক-নার্স-স্বাস্থ্যকর্মীর অভাবে বর্ধমান জেলার হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসা পরিষেবা চালু রাখা দিন দিন কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে। জামালপুর হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে গিয়ে তিনজন প্রসূতি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে হাসপাতালের বেশিরভাগ চিকিৎসক-নার্সকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠাতে হয়েছে।
একই অবস্থা কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে। সেখানেও আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসা বেশ কয়েকজন চিকিৎসক নার্সকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। বর্ধমান মেডিক্যালেও ইতিমধ্যেই ছয় চিকিৎসক ও এক কর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এক আধিকারিক জানান, প্রতিদিনই কোনও না কোনও বিভাগ থেকে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী করোনা আক্রান্ত বলে রিপোর্ট আসছে। তাঁদের সংস্পর্শে আসা অন্যান্য চিকিৎসক-নার্স স্বাস্থ্যকর্মীদের তালিকা তৈরি করে তৎক্ষণাৎ হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠাতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা সত্যি কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
সংক্রমণ রুখতে হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগ নিয়মিত জীবাণুমুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভিড় এড়াতে পুলিশকে তৎপরতা বাড়াতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে হাসপাতালে ভিজিটিং আওয়ার তুলে দেওয়া হয়েছে। এতে ওয়ার্ডের ভেতরের কিছুটা হলেও ভিড় কমেছে।
একই সমস্যা দেখা দিয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশেও। আগেই দুই পদস্থ কর্তা করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। এবার আরও কয়েকজন পুলিশ অফিসার কর্মী করোনা পজিটিভ বলে রিপোর্ট আশায় উদ্বেগ বেড়েছে। বর্ধমান মহিলা থানার এক কর্মী করোনা পজিটিভ বলে খবর মিলেছে। করোনা সংক্রমণ দেখা দেওয়ায় পর থেকেই দিনরাত এক করে বাসিন্দাদের সচেতন ও তার কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল পুলিশ। সেই সঙ্গে করোনা আক্রান্ত এলাকায় নজরদারি চালাতে হচ্ছিল তাদের। জন সংযোগের কারণেই পুলিশ কর্মী অফিসাররা করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন বলে মনে করছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর।
Saradindu Ghosh