#নয়াদিল্লি: 'করোনা সংক্রমণের মোকাবিলায় ৪ মাস চলে গিয়েছে। এর মধ্যে বহু দেশেই ৪২ লক্ষের বেশি লোক সংক্রমিত। ২.৭৫ লক্ষ লোক মারা গিয়েছেন। ভারতেও অনেকে স্বজনকে হারিয়েছেন, সবাইকে আমার সমবেদনা।' জাতির উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণটা শুরু হয়েছিল এভাবেই। তখনও কেউ আন্দাজ করতে পারেননি ঠিক কী বলতে চলেছেন তিনি। লকডাউনের পরবর্তী ধাপ বিষয় নিদানই ঠাউরেছিলেন অনেকে। কিন্তু সমস্ত জল্পনাকে নাকচ করে, আর্থিক দাওয়াই ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ঘোষিত হল দ্বিতীয় দফার আর্থিক প্যাকেদ, আত্মনির্ভর ভারত অভিযান। প্রধানমন্ত্রী নিজেই জানালেন, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রথম প্যাকেজ ও তাঁর ঘোষিত প্যাকেজের সম্মিলিত অর্থমূল্য ২০ লক্ষ কোটি টাকা। আর্থিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন অনেক দেশের থেকেই এগিয়ে আছে ভারতের আর্থিক প্যাকেজ। আগে রয়েছে শুধু জাপান ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
প্রধানমন্ত্রী এদিন জানান, এই প্যাকেজ ভারতের জিডিপির দশ শতাংশ। এর মধ্যমে দেশের প্রতিটি বর্গ সহায়তা পাবে। তাঁর কথায়, "২০২০ তে বিকাশ যাত্রাকে গতি দেবে এই ২০ লক্ষ টাকা"
প্রসঙ্গত এই ২০ কোটি টাকার মধ্যেই রয়েছে, মার্চে ঘোষিত দরিদ্র মহিলা, বৃ্দ্ধদের জন্যে ঘোষিত ১.৭ লক্ষ কোটি টাকার প্যাকেজ। রয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ৬.৫ লক্ষ কোটি টাকার আর্থিত দাওয়াইও।
প্ৰধানমন্ত্রীর কথায় এই ঘোষণায় উপকৃত হবেন কুটির শিল্প, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগের, অসংগঠিত শ্রমিকের, কৃষকের সমাজ। উপকৃত হবেন কর প্রদানকারী মধ্যবিত্ত।
তিন দফার লকডাউনে দেশের বহু পরিষেবা ক্ষেত্রেই তালা। ধুঁকছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পসংস্থাগুলি। এই অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী বলছেন আত্মনির্ভরতার কথা। "তিনি বলছেন গত শতাব্দী থেকে শুনেছি একুশ শতক ভারতের। আমাদের কাছে একটা সুযোগ এসেছে তা প্রমাণ করার। ২১ শতক ভারতের এ কথা স্বপ্ন নয়, দায়িত্বও বটে। " এই ২০ লক্ষ কোটি টাকা আর দেশি সম্পদের পুঁজিকে হাতিয়ার করেই নতুন দশকের দৌড়ে জিততে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।