হোম /খবর /করোনা ভাইরাস /
শরীর নেতিয়ে পড়ছে, জল-বিস্কুট খেয়ে পায়ে হেঁটে ভিনরাজ্য থেকে কালিয়াচকের পথে পরিযায়ী শ্রমিকরা

শরীর নেতিয়ে পড়ছে, জল-বিস্কুট খেয়ে পায়ে হেঁটে ভিনরাজ্য থেকে কালিয়াচকের পথে পরিযায়ী শ্রমিকরা

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

গত ২২ ফেব্রুয়ারি মালদহ জেলার কালিয়াচকের ১৪ জন বাসিন্দা বিহারের মজফরপুরে শ্রমিকের কাজ করতে গিয়েছিলেন। কাজ চলাকালীন দেশে লকডাউন শুরু হয়। তার জেরে বন্ধ হয়ে যায় নির্মান কাজ। বন্ধ হয়ে যায় রোজগার।

  • Last Updated :
  • Share this:

#কালিয়াচক: বিহারের মজফ্‌ফপুর থেকে মালদহের কালিয়াচকে ফেরার জন্য পায়ে হেঁটে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। কিন্তু পা যে আর চলছে না! তাই উত্তর দিনাজপুর জেলার করনদিঘি থানার টুঙ্গিদিঘি ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে ব্যাগ রেখে দূরপাল্লার গাড়ি দাঁড় করানোর চেষ্টা করেন কয়েকজন। কিন্তু  লরি  চালিকেরা তাঁদের আবেদনে সাড়া না দেওয়ায় হতাশ হয়ে তাঁরা ফের হাঁটতে শুরু করেন।

গত ২২ ফেব্রুয়ারি মালদহ জেলার কালিয়াচকের ১৪ জন বাসিন্দা বিহারের মজফ্‌ফপুরে শ্রমিকের কাজ করতে গিয়েছিলেন। কাজ চলাকালীন দেশে লকডাউন শুরু হয়। তার জেরে বন্ধ হয়ে যায় নির্মাণ কাজ। বন্ধ হয়ে যায় রোজগার। যে  কয়েকদিন কাজ করেছেন, সেই কয়েকদিনের উপার্জিত অর্থ দিয়েই দিনকয়েক সেখানে খেয়েছেন। কিন্তু পয়সা ফুরিয়ে যাওয়ায় খাবার জুটছিল না। ফলে কোনও উপায় না পেয়ে, একপ্রকার বাধ্য হয়েই হেঁটে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হন। কিছুদূর গাড়িতে  আসতে পারলেও ডালখোলা থেকে তারা হাঁটা শুরু করেন। পেটে খাবার না থাকায় কিছুদূর হেঁটেই ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন। রাস্তায় জাতীয় সড়কে দূরপাল্লার লরি দেখে দাঁড় করানোর চেষ্টা করলেও কোনও গাড়ি দাঁড়ায়নি।

উত্তর দিনাজপুর জেলার করনদিঘি থানার টুঙ্গিদিঘিতে জাতীয় সড়কে ব্যাগ রেখে লড়ি দাড় করানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। মহঃ ফিরোজ আলি নামে এক শ্রমিক জানিয়েছেন, 'পেটে খিদে নিয়ে আর হাঁটতে পারছি না। আমাদের একটি গাড়িতে তুলে দেবার ব্যবস্থা করুন কেউ।' তাঁদের এই করুন আবেদনে লড়ি চালকরা আমল দেয়নি। ফলে লরিতে তোলেননি কেউ। ফলে বাধ্য হয়েই সেই অবস্থাতেই আবার কালিয়াচকের উদ্দেশ্যে রওনা হন।

Published by:Shubhagata Dey
First published:

Tags: Bihar mazfur, Migrant labour