#কলকাতা: এক লহমায় কলকাতা পুরসভাকে মনে হচ্ছিলো যেন খাদ্য দপ্তর। টক টু মেয়রে বসেছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। প্রতি শনিবার নানা নাগরিক সমস্যা নিয়ে এই অনুষ্ঠানেই কথা বলেন ফিরহাদ হাকিম। শনিবারও তার ব্যতিক্রম ছিলো না। শুধু নাগরিক সমস্যার বদলে নব্বই শতাংশ ফোন এলো রেশন কার্ড নিয়ে। আর শুধু কি কলকাতা। রেশন কার্ডের জন্য ফোন করলেন মানুষ বেলঘড়িয়া থেকে শুরু করে উত্তর চব্বিশ পরগণার ইছাপুর এমনকী নদিয়া মানুষ।
এক মূহুর্তে স্পষ্ট হয়ে গেল লকডাউনে মানুষের অসহায়তার ছবিটা। বহু মানুষই অন্যান্য সময়ে রেশন কার্ড থাকলেও রেশন তোলেন না। অন্যান্য সময়ে খোঁজও রাখেন না নিজের রেশন কার্ডের। কিন্তু এখন যে বড় দায়। রেশনের চালটা বড্ড জরুরি। তাই নতুন রেশন কার্ডের জন্য আবেদনও করছেন মানুষ। কলকাতা পুরসভা যেহেতু কলকাতার রেশন কার্ড বিলি করে, তাই মেয়রকে ফোনে পেয়ে রেশন কার্ড নিয়ে আবেদন, নালিশ জানালেন বাংলার বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ।
লকডাউনে বাড়ি থেকে বেরোনো বারণ। এদিকে অনেকেই কাজে যেতে না পারায় হাতে টাকা ফুরিয়ে এসেছে। এই অবস্থাতেই আশার আলো মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষনা অনুযায়ী মে মাস থেকে মাথাপিছু রেশনে বিনামূল্যে পাঁচ কেজি চাল। এতেই রেশন কার্ডের চাহিদা একধাক্কায় বেড়ে গিয়েছে। এদিন টক টু মেয়রে যাঁরা ফোন করেছিলেন, তাদের মূল প্রশ্ন ছিল কবে থেকে চাল পাওয়া যাবে এবং এ সপ্তাহেই তা মিলবে কিনা? অনেকে শুধুমাত্র পরিচয়পত্রের জন্য রেশন কার্ড নিয়েছেন। যে কার্ডে রেশন মেলে না। তাঁরাও এখন রেশন পেতে চান।
এছাড়াও অনেকের অভিযোগ, তাঁরা শুনছেন রেশনের আটা রাস্তায় বিক্রি হয়ে যাচ্ছে । মেয়র শুনলেন। যথা সাধ্য পরামর্শ এবং আশ্বাসও দিলেন। বেশ কয়েকজনের মোবাইল নম্বর নিয়ে অফিসারদের দিয়েও দেন মেয়র। কিন্তু শনিবারের মেয়রকে করা ফোনগুললি একটা কথা স্পষ্ট করে দিল, তা হলো লকডাউনে মানুষের গভীর খাদ্য অনিশ্চয়তা, উদ্বেগ এবং অসহায়তা। মাত্র ৩৩ দিনের লকডাউনেই যে মানুষ ক্রমশ পরিস্থিতির কাছে অসহায় বোধ করছে, সে কথাই আরো একবার ফুটে উঠলো মেয়রের কাছে আসা অসহায় ফোনগুলিতে।
Sourav Guha
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Firhad Hakim, Lockdown, Ration Card