#কলকাতা: সকাল থেকে একে একে স্টেশনে ঢুকছে ক্যানিং, লক্ষ্মীকান্তপুর, ডায়মন্ড। হনহনিয়ে স্টেশন ছেড়ে বেরোচ্ছেন শহরতলী থেকে আসা হাজারো মানুষ। সাড়ে সাত মাসের ব্যবধানে লোকাল ট্রেন খুলেছে রাজ্যে। প্রথম দিন থেকেই প্রতিটি ট্রেনে উপচে পড়া ভিড়। প্ল্যাটফর্মে বা স্টেশনের বাইরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোভিড স্বাস্থ্যবিধি মেনে ট্রেনে যাতায়াতের ঘোষণা চলছে অহরহ। কিন্তু রুজির টানে, সময়ে গন্তব্যে পৌঁছানোর তাগিদে সেই সব আর সব সময়ে মেনে চলা যাচ্ছে কই!
শহরতলীর স্টেশন থেকে যাত্রী বোঝাই ট্রেন মহানগরীর প্ল্যাটফর্ম ছুঁলেই হুড়মুড়িয়ে গন্তব্যে পৌঁছনোর তাড়া। অধিকাংশ ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি শিকেয়।
শহরতলী থেকে কলকাতায় আসা এই মানুষগুলোর জন্যই শিয়ালদহ স্টেশনে সহায়তা শিবির করেছেন অশোক চক্রবর্তী। প্ল্যাটফর্ম থেকে বেরিয়ে আসা মানুষগুলোর হাতে ঢেলে দিচ্ছেন দু'ফোঁটা স্যানিটাইজার আর যাদের মাস্ক নেই, তাদের হাতে তুলে দিচ্ছেন একটি করে মাস্ক। সকাল থেকে দুপুর গড়িয়ে বিকেল। পাড়ার ছেলেদের নিয়ে এভাবেই শিয়ালদহ স্টেশন চত্বরে পরে রয়েছেন মধ্য কলকাতার তালতলার অশোক চক্রবর্তী। পেটের টানে, রুটি-রুজির টানে কলকাতা ছুটে আসা মানুষগুলোর মন ছুঁয়ে গেছে মধ্য পঞ্চাশের মানাদার উদ্যোগ। গাদাগাদি করে ট্রেনে সওয়ারি হতে হয়েছিল। প্ল্যাটফর্ম থেকে বেরিয়ে স্টেশনের বাইরে পা রাখতেই স্যানিটাইজার নিয়ে হাজির পৌঁছানো ব্যক্তি যেন তখন সাক্ষাৎ দেবদূত।
অশোক চক্রবর্তী নিজে বলছিলেন, "পুলিশ পুলিশের কাজ করছে। প্রশাসন নিজেদের মতো করে চেষ্টা করছে। কিন্তু দিনে যত সংখ্যক যাত্রী শিয়ালদহ দিয়ে যাতায়াত করছেন, তাদের সবার দিকে নজর দেবে কী করে! তাই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া। শহরতলীর মানুষ বাধ্যবাধকতা নিয়ে ট্রেনে আসছে। তাতে তো সব সময় স্বাস্থ্যবিধি মানা সম্ভবও হচ্ছে না। তাই স্টেশনের বাইরে দাঁড়িয়ে অতিমারীর সময়ে যতটুকু মানুষের জন্য করার চেষ্টা করা।" কথা শেষ না করেই দুই সঙ্গিকে নিয়ে তালতলার মানাদা ছুটলেন শিয়ালদহ স্টেশনের মেন সেকশনের দিকে। বনগাঁ লোকাল ঢুকছে। দু' ফোঁটা স্যানিটাইজার আর একটা মাস্ক। সামান্যই হয়তো। কিন্তু জেলা বা শহরতলী থেকে ছুটে আসা হাজারো অচেনা মানুষ গুলোর জন্য এটাই বা কত জন করেন!
PARADIP GHOSH
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Kolkata, Sealdah Station