#কলকাতা: অনির্দিষ্টকালের জন্য শোভাবাজার বাজার বন্ধ করে দেওয়া হল। রাস্তার দু’পাশে নির্দিষ্ট জায়গার পরিবর্তে রবিবার থেকে এই বাজার বসবে কুমারটুলি পার্ক ময়দানে। গত কয়েকদিন ধরে কলকাতা শহরের সমস্ত বাজারেই উপচে পড়ার ছবি সামনে আসে। সামাজিক দূরত্বের নির্দেশিকাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে চলছে বিকিকিনি। ভিড়ে ঠাসা বাজারগুলিতে গা ঘেঁষাঘেঁষি করেই চলছে হাট-বাজার । সেই তালিকায় ছিল শোভাবাজার বাজারও। পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকিং হোক বা সরকারি নির্দেশিকা কোনও কিছুই মানা হয়নি। যে কারণে প্রশাসনের তরফে পাতিপুকুর মাছ বাজার সহ শহরের একাধিক বাজারের স্থান পরিবর্তন করা হয়েছে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলো শোভাবাজার ।
রাজ্যের মন্ত্রী তথা স্থানীয় বিধায়ক শশী পাঁজা বলেন, 'বাজারে ভিড়ের কারণেই বাজারের স্থান পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকিং করে জনসাধারণ এবং বিক্রেতাদের গতকাল থেকেই বাজারের স্থান পরিবর্তনের কথা মাইকে করে প্রচার করা হয়েছে। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে'।
নির্দিষ্ট দূরত্বে দাঁড়িয়ে বাজার করার কথা। বাজারে বৃত্তের গন্ডি । ক্রেতা-বিক্রেতাদের সচেতন করে নানা ধরনের প্রচারেও হাটে বাজারে ভিড়ের সেই চেনা ছবির কোনও বদল হচ্ছে না। তাই নাগরিকদের সুরক্ষার প্রশ্নে এবার বাজারগুলোতে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশকে কড়া হাতে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার নির্দেশ জারি করা হয়েছে সরকারের তরফে। কোনও অবস্থাতেই বাজারে ভিড় আর মেনে নেওয়া হবে না বলেই সাফ জানিয়ে দিয়ে পুলিশকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ জারি করেছে নবান্ন।
শনিবার পুরসভার এক বিশেষ বৈঠকে পুর বাজারগুলোতেও কড়া নজরদারি চালানোর জন্য পুরকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এরপরও যদি দেখা যায় নিয়ম না মেনে বাজারগুলোতে ভিড় হচ্ছে, সেক্ষেত্রে বাজার বন্ধ করে দেওয়ার কথা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন মেয়র৷ এমনই সূত্রের খবর। যদিও রবিবারও বিভিন্ন বাজারে দেখা যাচ্ছে অসচেতনতার ছবি। মানিকতলা, হাতিবাগান, শ্যামবাজার বা দক্ষিণের গড়িয়াহাট থেকে লেক মার্কেট। ছবিটা সর্বত্রই একই।
এদিকে পাতিপুকুর মাছের বাজার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় উপচে পরা ভিড় দেখা গেল নিউটাউন মিশন বাজারের মাছ বাজারে। সামাজিক দূরত্ব বজায় থেকে মাস্ক-- কোনও নিয়মেরই বালাই নেই। রবিবার সকালে এই বাজারে গিয়ে দেখা গেল এক অন্য চিত্র। কোথায় লকডাউন ? কোথায় সামাজিক দূরত্ব পালন? অনেকে বিক্রেতাই মাস্ক না পড়ে বিক্রি করছে আবার অনেকে আবার মাস্ক না পড়েই বাজারে এসেছেন। জিজ্ঞাসা করলে নানা অজুহাত। প্রশ্ন উঠছে , এত আবেদন, নিবেদন, সরকারি নিয়ম কানুন মেনে চলার কথা বলার পরেও কেন নাগরিকদের বেপরোয়া মনোভাব?
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।