#ওয়াশিংটন: আমেরিকাই এখন করোনা ভাইরাসে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত। আর সেই মার্কিন মুলুকের বিজ্ঞানী বলছেন, পরীক্ষায় অনেকেরই করোনা নেগেটিভ ফল আসার পরেও তাঁদের শরীরে কোথাও না কোথাও করোনা থাকতে পারে। আর এই তথ্য সামনে আসার পরেই আরও আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
করোনা টেস্ট করা হয় যে প্রযুক্তির সাহায্যে তাঁকে পিসিআর বলা হয়। লালার মধ্যে সেটি করোনা ভাইরাসের অংশ চিহ্নিত করে। মিনেসোটার মায়ো ক্লিনিকের ছোঁয়াচে রোগ বিশেষজ্ঞ প্রিয়া সম্পথকুমার জানিয়েছেন, ‘সহজে করোনা ভাইরাসের পরীক্ষা করা যায় না। এর ওপর অনেকগুলি বিষয় নির্ভর করে। একটি মানুষ কতটা পরিমাণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, কীভাবে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে, নমুনা সংগ্রহের সময় সমস্ত নিয়ম মানা হয়েছে কি না, পরীক্ষাগারে পৌঁছানোর জন্য কতটা সময় লেগেছে, এই সব।’ সাধারণত মানুষের মুখ থেকে মুখে, হাঁচি, কাশির মাধ্যমেই এই ভাইরাস ছড়ায় বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে মাত্র চার মাস হয়েছে এই ভাইরাসের আতঙ্ক ছড়িয়েছে বিশ্বে। এর মধ্যে অনেক তথ্যই এখনও স্পষ্ট হয়নি।
চিনের একটি প্রাথমিক গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, যদি ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ ভাইরাস লালায় থাকে, তাহলেই পরীক্ষার ফল পজিটিভ আসছে। অন্য অনেক সংস্থা অবশ্য অন্য পরিসংখ্যান দিয়েছে। এই শতাংশের পরিমাণ যদি ৯০–এও পৌঁছে যায়, তাহলেও আশঙ্কা থাকে।
প্রিয়া জানিয়েছেন, আশঙ্কা করা হচ্ছে মে মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত ক্যালিফোর্নিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ শতাংশ বাড়তে পারে। সেই সংখ্যায় পৌঁছতে টেস্ট করতে হবে প্রায় ৪ কোটি লোকের। সেই হিসাবে দেখতে গেলে, ২০ হাজার এমন লোকের সন্ধান পাওয়া যাবে যাঁদের শরীরে করোনা ভাইরাস রয়েছে, কিন্তু পরীক্ষার ফল নেগেটিভ। এর ফলে রোগ প্রতিরোধ করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়াতে পারে বলেও মনে করছেন তিনি।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirus, COVID-19, Lockdown