#কলকাতা: বলা হয়ে থাকে, শিল্প সমাজের দর্পণ! কথাটা অনেক দিন ধরে ব্যবহার হতে হতে একটু হলেও জীর্ণ হয়ে এসেছে। পুরনো সুগন্ধির শিশি যেমন হালকা সুবাসটুকুর খেই ধরিয়ে দিয়ে যায়, অনেকটা সে রকম ভাবেই উপমাটা বাঁচিয়ে রেখেছে নিজেকে। পরিবেশ আর পরিস্থিতিতে সে কেবল ফিরে আসে মাত্র!
সত্যি বলতে কী, সমীক্ষার এই তথ্যটুকু আমাদের তেমন অবাক করে না। আশ্চর্য হল সমীক্ষার দ্বিতীয় তথ্য। যা বলছে যে করোনাকালে উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে লেখকের সংখ্যা। আর তা দিন দিন বেড়েই চলেছে। লেখা, সে যেমনই গুণমানের হোক , মানসিক অবসাদ কাটাতে তাকেই হাতিয়ার হিসেবে সবাই ব্যবহার করছেন সারা বিশ্ব জুড়ে !
ওয়াটপ্যাডের এই সমীক্ষা শুরু হয়েছিল চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে। মাথায় না রাখলেই নয়, ভারতে না হলেও সেই সময় থেকেই সারা বিশ্ব বিধ্বস্ত হতে শুরু করে দিয়েছে একটু একটু করে। ফলে, তখন থেকেই লেখালিখি হয়ে উঠেছে মানুষের নিজের এবং সমাজের মুখোমুখি দাঁড়ানোর অবলম্বন। সমীক্ষা বলছে যে জানুয়ারি থেকে এপ্রিল মাসের মধ্যে এই সংস্থায় লেখকের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ১৫১ শতাংশ! শুধু মাত্র এপ্রিল মাসেই ৫০ শতাংশ বেশি উদীয়মান সাহিত্যিক আত্মপ্রকাশ করেছেন এই সংস্থার মাধ্যমে। এই তথ্য কিন্তু বিশ্বের নিরিখে নয়, শুধুমাত্র ভারতের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। যা আমাদের জানিয়েছেন সংস্থার ভারতের ম্যানেজার দেবাশিস শর্মা!
লেখার বিষয়েও রয়েছে বৈচিত্র্য। করোনার দিনগুলিতে প্রেম যেমন জুড়ে থেকেছে অধিকাংশের লেখা, তেমনই এসেছে অলীক কল্পনাবিলাস। যার মাধ্যমে রূঢ় বাস্তব থেকে পালাতে চেয়েছেন অনেকে। অনেকে আবার মৃত্যুভয় জড়িয়ে থাকা এই সময়কেই ফুটিয়ে তুলেছেন লেখায়। আঙুলের ডগার সঙ্গে তো স্নায়ুমাধ্যমে যুক্ত মস্তিষ্ককোষ- এই পথেই উত্তেজনা জাগিয়ে এখন মানসিক অবসাদ কাটাচ্ছেন লেখকরা!
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।