মহিষাদল: আয় নেই, তাই ঠাঁই হয়নি নিজের ছেলের সংসারে। বাড়ি ছাড়া হয়ে তাই মহিষাদল রাজ বাড়ির ভাঙাচোরা দালানেই ঠাঁই হয় ৮০ বছরের গঙ্গাধর সামন্তের। নিউজ এইট্টিনে সেই খবর প্রকাশিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আশি বছরের গঙ্গাধরবাবুকে নিয়ে শুরু হয় হইচই। শেষমেশ, স্থানীয় একদল মানুষ হস্তক্ষেপ করেন। যাতে নিজের বাড়ি ফিরতে পারেন গঙ্গাধরবাবু, সেই চেষ্টা শুরু কর হয়।
মহিষাদলের শিবু ভৌমিক, বিক্রম চ্যাটার্জি, রঞ্জন পানিগ্রাহীরা গঙ্গাধরের পরিবার পরিজনদের বুঝিয়ে তাঁকে বুধবার ফিরিয়ে দেন তাঁর বাড়িতে। সঙ্গে খাদ্য সামগ্রী এবং আনুসঙ্গিক বেশকিছু জিনিসপত্রও তাঁর হাতে তুলে দেন। আর্থিক সাহায্য আর প্রয়োজনীয় সামগ্রীর ব্যবস্থা করে দেন মহিষাদল পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি তিলক চক্রবর্তী। যিনি আজ তাঁর বাড়িতেও গিয়েছিলেন। বাড়ির সবাইকে বুঝিয়ে আসেন।
করোনা লকডাউনে সবকিছু বন্ধের কারণে আয় বন্ধ হয়েছে মহিষাদলের ফেরিওয়ালাদের। নিজের সংসারে নিজের ছেলে বৌমার কাছে ব্রাত্য হয়ে পড়া আশি বছরের মানুষটির জায়গা হয় রাজবাড়ির ভাঙাচোরা ঘুপচি এক দালানের পাশে! প্রায় না খেয়েই কোনও মতে দিন কাটছিলো তাঁর।
লকডাউনের কঠিন সময়ে যখন বাজার হাট স্কুল কলেজ বন্ধ, তখন নিজের হকারিও বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছিলেন বৃদ্ধ গঙ্গাধর। কিন্তু বাড়িতে খেতে হলে যেখানে রোজ দিতে হবে ৪০ টাকা! এবং না দিতে পারলে সেদিন উপোস! বাড়ি থেকে বেরিয়ে খিদে মেটাতে রাজবাড়ির কুলদেবতার মন্দিরের এক বেলার ভোগই ভরসা ছিলো তাঁর। যদিও মন্দির থেকে প্রতিদিন ভোগ লাভ হত না বলে তিনি জানান। উপায় বলতে পথচলতি লোকের দেওয়া খাবারই ভরসা হয়ে উঠেছিলো তাঁর।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirus, COVID-19, Lockdown