#কলকাতা: কীভাবে আয়োজন করা হবে এ বারের দুর্গাপুজোর? প্যান্ডেলের ভিতরে, বাইরে কী কী গাইডলাইন মানতে হবে? পুজো উদ্যোক্তাদের সঙ্গে বৈঠকে সেই নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সামাজিক দূরত্ব মানা, মাস্ক পরার মতো করোনার স্বাস্থ্যবিধি মানার পাশাপাশি পুজো মণ্ডপে যে কোনও মূল্যে ভিড় এড়াতে হবে বলেও এ দিন নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ একনজরে দেখে নেওয়া যাক, কী কী নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-
১. প্যান্ডেল খোলামেলা করতে হবে৷ মণ্ডপের চারপাশ খোলা রাখতে হবে৷ চারপাশ ঘেরা থাকলে মণ্ডপের ছাদ খোলা রাখতে হবে যাতে হাওয়া চলাচল করতে পারে এবং সংক্রমণের আশঙ্কা কমে৷
২. দর্শনার্থীদের এবং মণ্ডপ চত্বরে থাকা প্রত্যেকের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক৷ মাস্ক না পরলেও নাক, মুখ ঢেকে রাখতে হবে৷ পুজো উদ্যোক্তা এবং পুলিশের উদ্যোগে মণ্ডপে মাস্ক রাখতে হবে, যাতে কারও কাছে মাস্ক না থাকলে তাঁকে মাস্ক দেওয়া যায়৷
৩. মণ্ডপের অনেকটা আগে থেকেই দর্শনার্থীদের স্যানিটাইজার দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে৷ মণ্ডপের ভিতরে ভিড় এড়াতে প্রবেশ এবং বেরনোর আলাদা পথ রাখতে হবে৷ ভিড় এড়াতে ব্যারিকেড, দাগ দিয়ে মানুষ দাঁড়ানোর জায়গা চিহ্নিকরণের ব্যবস্থা করে দিতে হবে৷
৪. বেশি সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক রাখতে হবে৷ এদের জন্য মাস্ক, স্যানিটাইজার, ফেস শিল্ড দিতে হবে৷ পুলিশকর্মী যাঁরা পুজোর সময় দায়িত্বে থাকবেন, তাঁদেরকেও পর্যাপ্ত সংখ্যক মাস্ক, স্যানিটাইজার এবং সুরক্ষা সরঞ্জাম দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷
৫. অঞ্জলি, প্রসাদ বিতরণ এবং সিঁদুরখেলাতেও ভিড় এড়াতে অনুরোধ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ ছোট ছোট দলে ভাগ করে অঞ্জলির আয়োজন করার অনুরোধ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ ফুল, বেল পাতা বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন মুখ্যমন্ত্রী৷
৬. প্রসাদ বিতরণে ভিড় এড়াতে হবে৷ আবাসনের পুজোতেও এই নির্দেশিকা মানতে হবে৷ একই সময়ে সবাই সিঁদুরখেলায় অংশ না নিয়ে ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে সিঁদুরখেলার অনুরোধ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷
৭. বিসর্জনেও বেশি মানুষ নিয়ে যাওয়া যাবে না৷ পাশাপাশি একই এলাকার সব পুজোর বিসর্জনও একদিনে হবে না৷ ঘাটগুলিকেও স্যানিটাইজ করার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷
৮. পুজোর সময় আলাদা করে কোনও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা যাবে না৷ অতিরিক্ত ভিড় এড়ানোর জন্যই এই নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷
৯. উদ্বোধনী অনুষ্ঠানও সংক্ষিপ্ত রাখার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷
১০. মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, পুরস্কার দেওয়ার জন্য যে বিচারক বা প্রতিনিধি দল মণ্ডপে মণ্ডপে আসেন, তাঁদের একসঙ্গে দু'টির বেশি গাড়ি যেন মণ্ডপ চত্বরে প্রবেশ না করে৷ ভার্চুয়াল মাধ্যমে মণ্ডপ দেখে পুরস্কার দেওয়ার অনুরোধ করেন তিনি৷ এ বার বিশ্ব বাংলা পুরস্কারও ভার্চুয়ালি দেওয়া হবে৷ পুরস্কার দেওয়ার জন্য বিচারকরা সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টের মধ্যে মণ্ডপগুলিতে যাবেন৷ যে কোনও মূল্যে যাতে ভিড় এড়ানো যায়, সেই অনুরোধ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷
মুখ্যমন্ত্রী এ দিনও অভিযোগ করেন, পুজো নিয়ে অনেকেই রাজনীতি করার চেষ্টা করছেন৷ ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী বলেন 'যদি বলি পুজো এবার হবে না, তাহলে বলবে পুজো করতে দিল না৷ আর যদি বলি একটু নিয়ম মেনে করুন, তাহলে চিৎকার করবে৷ কারণ তাঁদের কোনও দায় নেই, যাঁরা সরকার চালায় দায়টা তাঁদের৷ পুজো তো আমি বন্ধ করতে পারি না৷ ইদে কেউ বাড়ি থেকে বেরোতে পারেননি, কিন্তু বাড়িতে বসে প্রার্থনা করতে পেরেছেন৷'
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Durga Puja, Durga Puja 2020