#শিলিগুড়ি: করোনা মোকাবিলায় কন্টেইনমেন্ট জোনে লকডাউন শুরু হয়েছে। সেই মতো শিলিগুড়ি পুরসভার ৯টি ওয়ার্ডেও শুরু হয়েছে লকডাউন। জেলাশাসক এস পুন্নমবালাম আগেই জানিয়েছিলেন, লকডাউনে কড়াকড়ি করা হবে। সেইমতো ঘড়ির কাঁটায় ৫টা বাজতেই ৯টি ওয়ার্ডে শুরু হয়ে যায় লকডাউন।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, শুধু মুদিখানার দোকান এবং ওষুধের দোকান খোলা থাকবে। ঘুরবে মোবাইল ভ্যান। এছাড়াও ইতিমধ্যে বাঁশের ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন ওয়ার্ডের সীমানায়। অর্থাৎ কেউ ওয়ার্ডের বাইরে বেরোতে পারবেন না। খুব জরুরী কাজ ছাড়া। আবার অন্য ওয়ার্ডের বাসিন্দারাও প্রবেশ করতে পারবেন না লকডাউনে থাজা ওয়ার্ডগুলিতে। পুলিশি নজরদারিও শুরু হয়ে গিয়েছে। পুরসভার ২, ৪, ৫, ২৮, ৩৭, ৩৮, ৩৯ এবং ৪৬ নং ওয়ার্ডে নতুন করে কার্যকর করা হচ্ছে লকডাউন। লকডাউন মানা হচ্ছে কিনা খতিয়ে দেখতে এদিন সন্ধ্যেয় টহল দেয় শিলিগুড়ির স্থানীয় পুলিশ।
৪৬ নং ওয়ার্ডে তৎপর ছিল পুলিশ। পাশাপাশি ২৮ নং ওয়ার্ডেও চলে পুলিশি টহল। এই ওয়ার্ডে নিয়ম মানা হচ্ছিল না জানতে পেরে সক্রিয় হয়ে ওঠে পুলিশও। চলে ব্যপক ধরপাকড়। কোথাও লকডাউন উপেক্ষা করে চলছিল জুয়ার আসর। আবার কোথাও জমিয়ে তাস খেলা। মাস্ক ছাড়াই ঘোরা ফেরা করছিলেন অনেকে। সেই কারণেই শুরু হয় ব্যাপক ধরপাকড়। শিলিগুড়ি পুলিশের এসিপি (পূর্ব) স্বপন সরকার, আইসি সুদীপ সরকারের নেতৃত্বে অভিযানে নামে পুলিশ। রাত পর্যন্ত ২৫ থেকে ৩০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। লাগাতার এই অভিযান চলবে বলে জানিয়েছেন এসিপি (পূর্ব) স্বপন সরকার।
এদিকে আজ থেকে বন্ধ হয়ে গেল খালপাড়া নয়া বাজার। এই বাজার থেকে রেশন সামগ্রী সরবরাহ হত উত্তরবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই। পাশাপাশি রপ্তানি হত নেপাল, ভুটান, সিকিম সহ পাহাড়ে। টানা চার দিন বন্ধ থাকবে এই বাজার। এদিন থেকে এনজেপি স্টেশন বাজার, এনজেপি মেইন রোড বাজারও বন্ধ।
Partha Sarkar