#নয়াদিল্লি: মৃত্যুর পর পার্থিব শেষ চিহ্নও মানছে লকডাউন ৷ লকডাউনে আটকে শহর। নিয়ন্ত্রিত গতিবিধি। বন্ধ যানবাহন। প্রিয়জনের শেষকৃত্য করলেও, বেশিরভাগ সময়েই গঙ্গায় অস্থি-ভস্ম বিসর্জন করতে পারছেন না পরিজনেরা। দিল্লির নিগমবোধ ঘাটের লকারে জমছে চিতাভস্মের পাহাড়। কবে উঠবে লকডাউন! তবেই হবে মুক্তি ৷
লকার ভর্তি। লকারের উপরে, পাশে সব জায়গায় লাল কাপড়ে মোড়া অস্থিভস্মের-কলস। গায়ে নির্দিষ্ট নাম লেখা। দিল্লির নিগমবোধ ঘাটের লকারে বিসর্জনের অপেক্ষায় প্রিয়জনের অস্থিভস্ম।
বিশ্ব জুড়ে করোনা ত্রাস। লকডাউনে সমাধান খুঁজছে দেশ। ছাড় শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় পরিষেবায়। তবে মৃত্যু তো কারও অনুমতি চায় না। লকডাউনের শহরেও প্রতিদিন কারও না কারও মৃত্যু হচ্ছেই। শেষকৃত্যে পাঁচজনের বেশি জমায়েতের অনুমতি নেই। প্রিয়জনের দেহ পুড়ে যাওয়ার পর, অনেকের পক্ষেই গঙ্গায় অস্থিভস্ম বিসর্জন দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তালাবন্দি শহরে হরিদ্বার কিংবা অন্য কোনও পুণ্যস্থানে যেতে পারছেন না অনেকেই। ফলে লকারেই রাখতে হচ্ছে দেহাবশেষ।
দিল্লির অন্যতম বড় শ্মশান, নিগমবোধ ঘাটের লকারে সযত্নে রক্ষিত প্রায় আড়াইশো অস্থি-ভস্মের কলস। লকডাউন শেষে তা তুলে দেওয়া হবে পরিজনের হাতে। প্রায় এক মাস তালাবন্ধ জীবন। মৃত্যুর পরও লকডাউন। মারণ ভাইরাস করোনা বদলে দিচ্ছে জীবন-মৃত্যুর ইতিকথা।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Corona, Corona outbreak, Corona state lock down, Coronavirus, COVID-19, Cremation ashes locked in lockers