#শিলিগুড়ি: ইতিমধ্যেই শিলিগুড়িতে আক্রান্তের সংখ্যা হাজার ছাপিয়ে গিয়েছে। তাই করোনা মোকাবিলায় আজ থেকে শিলিগুড়ির ৪৭টি ওয়ার্ডে ফের চালু হয়েছে কড়া লকডাউন। গতকাল সন্ধ্যেয় জরুরি বৈঠক শেষে লকডাউন ঘোষবা করেন রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। টানা ৭দিন চলবে এই লকডাউন। কিন্তু প্রথম দিনের ছবি অন্য কথা বলছে। কোথায় লকডাউন? ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতে রাস্তায় লোকে লোকারণ্য। এককথায় প্রমাদ গুনছে শিলিগুড়ি।
আজ দিনটা শুরু হয়েছে আর পাঁচটা দিনের মতোই। কোনও পরিবর্তনের ছবি ধরা পড়েনি। শহরের উত্তর থেকে দক্ষিন, পূর্ব থেকে পশ্চিম সর্বত্রই ভিড় আর ভিড়।লকডাউনকে উপেক্ষা করেই শহরের রাস্তা ভিড়ে ঠাসা। পুলিশ পথে নেমেছে। বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে টহল দিচ্ছে। ব্যারিকেড করেছে। ধরপাকড় চলছে। কিন্তু তবুও আটকানো যাচ্ছে কই।
সচেতন মানুষের প্রশ্ন, পুলিশ অতি সক্রিয় হলেও সাধারন মানুষ যদি সচেতন না হয়, তাহলে গ্রাফ নিম্নমুখী হবে কোন উপায়ে? এদিন রাস্তায় বেড়িয়ে দেখা গেল কেউ বাজারের নাম করে, কেউ ওষুধ কেনার আছিলায়, কেউ আবার হাসপাতালের অজুহাত দেখিয়ে দিব্যি দাপিয়ে বেড়ালেন শহর। এদের মধ্যে আবার অনেকেই মাস্ক বা ফেস কভারে মুখ, নাক না ঢেকেই বেড়িয়ে পড়েছেন রাস্তায়।
প্রশ্নটা অনেকদিনই ঘুরছে। পাহাড় পারছে। সমতল নয় কেন? শিলিগুড়ির এসিপি (পূর্ব) স্বপন সরকার জানান, "লাগাতার ধরপাকড় চলছে। তবে সাধারন মানুষকে আরো সচেতন হতে হবে। নইলে উপায় নেই।"
অনেকেরই অভিযোগ প্রথম দফার দেশজুড়ে চলা লকডাউন বিধি উপেক্ষা করেছে এই শহর। আর তাই আনলক হতেই আক্রান্তের গ্রাফ ধাপে ধাপে বেড়ে চলছে। কিছুতেই রোখা যাচ্ছে না। এখন সংক্রমণে রাশ টানার একমাত্র হাতিয়ার হল লকডাউন। কিন্তু মানার কোনো ইচ্ছে নেই সাধারন মানুষের। আর মানুষের বোধদয় না হলে প্রশাসন কী করবে!
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।