#বর্ধমান: করোনা ভাইরাস রুখতে নিয়মিত লোকাল ট্রেন জীবাণুমুক্ত করা হোক। এমনটাই দাবি তুলছেন নিত্যযাত্রীরা। সেই সঙ্গে ভিড় এড়াতে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানোরও দাবি তুলছেন তাঁরা। যাত্রীরা বলছেন, করোনা সতর্কতায় একে অপরের সঙ্গে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। ট্রেনে পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেমে তা সব সময় ঘোষণাও করা হচ্ছে। কিন্তু লোকাল ট্রেনের ভিড়ে সেই দূরত্ব বজায় রাখা কিভাবে সম্ভব! ফলে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি নিয়েই যাতায়াত করতে হচ্ছে। বর্ধমান হাওড়া মেন, বর্ধমান হাওড়া কর্ড লাইন লোকাল, বর্ধমান আসানসোল , বর্ধমান রামপুরহাট সব শাখার লোকাল ট্রেনেই একই চিত্র।
নিত্যযাত্রীরা বলছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় লোকাল ট্রেনে অফিস যাওয়ার সময় সেই বাদুড় ঝোলা ভিড় না থাকলেও যে ভিড় রয়েছে তাতে করোনা ভাইরাস রাজ্যজুড়ে ছড়িয়ে পড়ার পক্ষে যথেষ্ট। তাই সেই অবস্থা তৈরি হওয়ার আগে যথাযথ সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা নিক রেল। ভিড় কমাতে লোকাল ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হোক। সেই সঙ্গে প্রতিবার যাত্রার শেষে অর্থাৎ গন্তব্যে পৌঁছানোর পর কার শেডে নিয়ে গিয়ে সেই ট্রেন ভালোভাবে জীবানু মুক্ত করা হোক।
যাত্রীরা বলছেন, সব যাত্রীদেরই গা ঘেঁষাঘেঁষি করে বসতে হচ্ছে। কে কোথা থেকে আসছেন, তিনি করোনা ভাইরাস বহন করছেন কিনা জানা নেই। দু একজন ছাড়া কেউ মাস্ক ব্যবহার করছেন না। তারই মধ্যে হাঁচি কাশি চলছে। এ রাজ্যে ঢুকলে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে সময় নেবে না।
সব মিলিয়ে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আশংকাকে সঙ্গী করেই যাতায়াত করতে হচ্ছে যাত্রীদের। তাঁরা বলছেন, যতদিন না অফিস ছুটি ঘোষনা করছে চাকরি বাঁচাতে যেতেই হবে। অনেকেই ব্যবসার কারনে নিয়মিত ট্রেনে যাতায়াত করছেন। ভিড় এড়িয়ে চলা তাদের পক্ষে কোনও ভাবেই সম্ভব নয়।
নিত্যযাত্রীরা বলছেন, দূরপাল্লার ট্রেন জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে। কিন্তু লোকাল ট্রেনেও তা অবশ্যই করা দরকার। অধিকাংশ লোকাল ট্রেনের কামরাই নোংরা। আবর্জনা পড়ে রয়েছে। জীবাণুমুক্ত করা তো দূরের কথা নিয়মিত যে কামরা ধোওয়া পর্যন্ত হয় না তা তা দেখেই বোঝা যায়। করোনা রুখতে শুধু ঘোষণা করে যাত্রীদের সচেতন করা নয়, প্রয়োজনীয় পদক্ষেপও নিতে হবে রেল কর্তৃপক্ষকে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirus, Coronavirus in India, Coronavirus Pandemic