#কলকাতা: ছোট ছোট স্বপ্ন দেখতেন আগে। ইচ্ছেগুলো ডানা মেলত। আর এখন শুধুই ভাতের চিন্তা। পেট বড় বালাই। পথে নেমে ভাতের লড়াই করতে হচ্ছে বাঘাযতীনের ঘোষ দম্পতিকে। ইমিটেশন গয়নার দোকান বন্ধ। ভাত জোটাতে এখন রাস্তার ধারে বসে মুড়ি ও সবজি বিক্রি করছেন তাঁরা।
লকডাউনের দিনগুলিতে জীবনের দাড়িপাল্লাটাই পাল্টে গিয়েছে। আগে জীবন, সকালে উঠে যাদবপুরের দোকান খুলতেন বিকাশ ঘোষ। ছোট্ট গয়নার দোকান। কিন্তু মোটের উপর চলে যেত। চৈত্র সেল বাড়তি দু'টো রোজগারের আশায় সমস্ত পুঁজি ঢেলে নতুন বেশ কিছু জিনিস তুলেছিলেন দোকানে। কিন্তু সে সব দোকানেই পড়ে রয়েছে। বন্ধ দোকানে স্বপ্নগুলো গুমরে মরছে। কিন্তু বাঁচতে হবে তো। বীথিকা ঘোষ বলছেন, "পেটের টানে রাস্তার ধারে মুড়ি নিয়ে বসেছি। এই কাজ করতে হবে কোন দিনও ভাবিনি। দাঁড়িপাল্লা ধরতে পারিনা। অনেক সময় বেশি মাল দিয়ে দিচ্ছি। মুড়ির বস্তা টানতে টানতে কোমরে ব্যথা হয়ে যাচ্ছে। ডাক্তার সারাবছর ক্যালসিয়ামের ওষুধ খেতে বলেছে। কিন্তু পয়সা কোথায় ওষুধ খাওয়ার?"
বিকাশবাবু ও বীথিকাদেবী প্রথমে ভেবেছিলেন স্থানীয় বাজারে বসবেন। কিন্তু সেখানে বসতে দেওয়া হয়নি। তাই উপায় না খুঁজে পেয়ে রাস্তার ধারে ফ্ল্যাটের নীচে বসেই লড়াই শুরু করেন। বিকাশ ঘোষ জানান, "লকডাউনের জেরে দুঃসময় চলছে। তাই বাধ্য হয়ে রাস্তায় বসেছি। বাজারে বসতে গিয়েছিলাম। বসতে দেয়নি। ফ্ল্যাটের নীচে দোকানগুলো বন্ধ তাই এখানে বসেছি। কাল তুলে দিলে কি করব জানিনা।"
করোনার জেরে লকডাউন তাঁদের জীবনটাই পাল্টে দিয়েছে। আগের জীবনটা ভালো-মন্দে কেটে যাচ্ছিল। এখনকার জীবন একেবারে খাদের ধারে। প্রতিদিন সকাল হয় আর ঘোষ দম্পতি ক্যালেন্ডারে দাগ দেন পুরনো দিন ফিরে পাবারআশায়।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirus, COVID-19