#নয়াদিল্লি : করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ ঠেকানো প্রায় অসম্ভব। ডিসেম্বরের পর আবারও করোনা সংক্রমণ সর্বোচ্চ পরিসংখ্যান ছুঁয়েছে রাজধানী দিল্লিতে। আতঙ্কে সাধারণ মানুষ। এই পরিস্থিতিতে লকডাউন একমাত্র সমাধান বলে মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। কিন্তু এখনই সে পথে হাঁটবে না দিল্লি। অন্তত এমনই ইঙ্গিত দিলেন দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন৷ শনিবার তিনি বলেন, "দিল্লিতে দ্বিতীয়বার লকডাউন করাটা কোনও সমাধান নয়। মানুষকে কোভিডের সঙ্গেই বাঁচা শিখতে হবে।"
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বছরে ফের ছড়াবে করোনাভাইরাস৷ তাই এর সঙ্গে বাঁচা শিখতে হবে সবাইকে৷ একইসঙ্গে সত্যেন্দ্র জৈন বলেন, "দিল্লিতে এই মুহূর্তে লকডাউনের কোনও সম্ভাবনা নেই ৷ আগে এর পেছনে যুক্তি ছিল ৷ কীভাবে ভাইরাস ছড়ায়, তা কেউ জানতাম না৷ আমাদের বলা হয়েছিল ২১ দিন সব কাজ বন্ধ করে রাখলে করোনার সংক্রমণ ঠেকানো যাবে৷ অথচ এরপর লকডাউন চলতেই থাকল। তা সত্ত্বেও ভাইরাস গেল না৷ আমি মনে করি লকডাউন কোনও সমাধান নয়৷" প্রসঙ্গত, গত বছর মে মাসে এই একই কথা শোনা গিয়েছিল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের মুখে ৷
রাজধানীতে দৈনিক করোনা সংক্রমণ গত দুদিনই দেড় হাজার ছাড়িয়েছে। তাই পরিস্থিতি বিচার করে মানুষকে যতটা দ্রুত সম্ভব টিকা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, "এটা এমন একটা অসুখ যার পুনরাবৃত্তি ঘটে ৷ প্রথম থেকেই বিশেষজ্ঞরা বলে আসছেন একথা। তাই এই সংক্রমণ অবিলম্বে শেষ হয়ে যাবে এমনটা ভাবার কোনও কারণ নেই৷ আমাদের এর সঙ্গেই বাঁচা শিখতে হবে ৷" তিনি আরও বলেছেন, "মানুষ দু-তিন মাস মাস্ক পরেই তা পরা বন্ধ করে দিল ৷ এটা ঠিক নয় ৷ আমরা মানুষের কাছে আবেদন করছি ৷ যত বেশি মানুষ মুখে মাস্ক পরবেন, ততই এই ভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হবে ৷"
সেইসঙ্গে সাধারণ মানুষকে আস্বস্থ করে তিনি বলেন, আমরা আগামী পয়লা এপ্রিল থেকেই তৃতীয় দফা টিকাকরণ শুরু করতে চলেছি। দৈনিক টেস্টিং ও বাড়ানো হয়েছে ৮৫০০০ থেকে ৯০,০০০। দেশের অনন্য রাজ্যগুলির থেকে যা প্রায় পাঁচগুণ বেশি। এইভাবেই করোনা মোকাবিলায় রাজ্য সক্রিয় ভূমিকা নিচ্ছে বলেও দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রীর এদিন জানান।