#শিলিগুড়ি: গ্রাফ নামার কোনো লক্ষণই নেই। নামার পথও যে খোলা নেই। আর তাই হু হু করে বাড়ছে সংক্রমণ। শহরই নয়, দার্জিলিং জেলার পাহাড় থেকে গ্রামাঞ্চল সর্বত্রই একই ছবি। নিয়ম ভাঙার ছবি! সেই সুযোগে মারণ করোনা ক্রমেই তার জাল ছড়াচ্ছে। সামনে পুজো। নিউ নর্মালে অনেকেই বেড়িয়ে পড়ছেন বাজার, মার্কেটে। এক্ষেত্রে অনেকেই মানছেন কোভিড প্রোটোকল। অর্থাৎ মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস পরে বের হয়েছেন। অনেকেই আবার ফেস শিল্ড ব্যবহারও করছেন। তবে সংখ্যাটা তুলনায় কম। বেশিরভাগ মানুষই বিনা মাস্কে অবাধেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন এক মার্কেট থেকে অন্য মার্কেটে। অনেক দোকানিও মাস্ক ছাড়াই দোকান এবং ক্রেতাদের সামলাচ্ছেন।
অথচ বিধান মার্কেট সহ একাধিক মার্কেট, বাজারে অনবরত বেজে চলেছে মাইক। কানে ভাসছে কোভিডের সচেতনতামূলক প্রচার। সেখানে বার বার বলা হচ্ছে, 'স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলুন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন৷বিনা মাস্কে এলে কোনও সামগ্রীই বিক্রি করা হবে না। কোনও ব্যবসায়ীও নিয়ম ভাঙলে জরিমানা করা হবে।'
কিন্তু বাস্তবে ঠিক এর উলটো ছবি। কোথায় দূরত্ব বিধি? আর কোথায় বা মাস্কের ব্যবহার? সবই কি আইওয়াশ? উঠছে প্রশ্ন। এক ব্যবসায়ীর কথায়, অনেকেই মানছেন। আবার বহু ক্রেতা এবং বিক্রেতা তা মানছেন না। আর এতেই বাড়ছে বিপত্তি! যদি বারংবার বলার পরও কেউ কর্ণপাত না করে তাহলে আর কি করা যায়! বক্তব্য এক সচেতন ব্যবসায়ীর। আর এই চূড়ান্ত অসচেতনতার জন্যেই লাফিয়ে লাফিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে পাহাড় থেকে সমতলে। গত ২৪ ঘণ্টায় শিলিগুড়ির ৪৭টি ওয়ার্ড এবং দার্জিলিংয়ের পাহাড় ও সমতলের গ্রামীণ এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা ১১৯ জন! এর মধ্যে পুর এলাকায় সংখ্যাটা ৫৭ জন। মহকুমার চার গ্রামীণ এলাকা মিলিয়ে নতুন করে আক্রান্ত ৩৮ জন। যার মধ্যে নকশালবাড়িতে ২৪ জন, মাটিগাড়ায় ১১ জন, খড়িবাড়িতে ২ জন এবং ফাঁসিদেওয়ায় আক্রান্ত ১ জন। পাহাড়ে সংক্রমিত ২৪ জন। দার্জিলিং পুর এলাকায় ৩ জন, কার্শিয়ংয়ের পুর ও গ্রামীণ এলাকা মিলিয়ে ৯ জন, মিরিকে ৪ জন, পুলবাজারে ৫ জন, সুখিয়াপোখরিতে ২ জন এবং তাগদায় আক্রান্ত ১ জন।
জেলায় চিকিৎসায় সাড়াও মিলছে ভাল। এদিন জেলার তিন কোভিড হাসপাতাল এবং হোম আইসোলেশনে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৮২ জন!
Partha Pratim Sarkar
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirus, Siliguri