#কলকাতা: অক্সিজেনের বদলে জুতো! হ্যাঁ, করোনা পরিস্থিতিতে ভালো ভাবে বেঁচে থাকার জন্য কলকাতার শ্রীকলোনীর দম্পতি চেয়েছিলেন অক্সিজেন কনসেনটেটর। কোনটা ভালো হবে তা দেখে শুনেই একটি ই-কমার্স সাইট থেকে অর্ডার দিয়েছিলেন দীনেশচন্দ্র দাস। টাকার থেকেও দামী স্বাস্থ্য, সেই কথা ভেবেই ৫৫ হাজার টাকা অনলাইনের মাধ্যমে মিটিয়ে দিয়েছিলেন অবসরপ্রাপ্ত এই সরকারি আধিকারিক। গত মাসের ২৭ তারিখ অর্ডার দেবার পরেই রোজই নজর রাখতেই কনসেনট্রেটরের গতিবিধির দিকে। পোষাকি নাম ছিল অক্সিমেট অক্সিজেন কনসেনটেটর। চলতি মাসের তিন তারিখ সকালেই চলে আসেন সেলসম্যান অক্সিজেন কনসেনট্রেটর নিয়ে। কথা অনুযায়ী প্রায় ১০ কিলো ওজনের জিনিস, দেখতে রেফ্রিজারেটরের মত। কিন্তু সেলসম্যানের হাতে অক্সিজেন কনসেনটেটরের সাইজ দেখে চক্ষু চড়কগাছ এই দম্পতির।
সেলসম্যানের কথা অনুযায়ী নিদিষ্ট নিয়ম মেনে ৫৫ হাজার টাকার অক্সিজেন কনসেনটেটর হাতে পেয়ে প্যাকেট খুলে ফেলেন কৃষ্ণা দাস। দেখা যায় অক্সিজেন নয়, এসেছে তিন জোড়া জুতো। স্বাভাবিক ভাবেই হতবাক অবসরপ্রাপ্ত সরকারি আধিকারিক।
ই-কমার্স সাইটে তখনই ই-মেলের মাধ্যমে সব কিছু জানান দীনেশচন্দ্র দাস। ১২ তারিখ নেতাজি নগর থানাতেও পুরো বিষয়টি জানিয়ে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন। দীনেশচন্দ্র দাস জানান, "আগে অনেকবার অর্ডার দিয়েছি। এতবেশী টাকা অর্ডার দিইনি কোনদিন। এখন টাকা ফেরত হোক বা জিনিসটা বদলে দিন তার কথাই মেল করে জানিয়েছি।"
করোনার পরিস্থিতিতে ঠিক জিনিস না পেয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন দীনেশচন্দ্র দাসের স্ত্রীয়ের। কৃষ্ণা দাস জানান, যখন দরকার ছিল তখনই জিনিসটা পেলাম না, অসুস্থ হলে কী হবে? শ্রীকলোনীর দাস দম্পতি এখন একটাই অপেক্ষায় টাকা ফেরত হোক বা জিনিস বদলে দিক ই-কমার্সের কতৃপক্ষ।