#কলকাতা: করোনা চিকিৎসায় শহরের বুকে মাঝে মধ্যেই বেসরকারি হাসপাতালের বিল বাড়ানোর অভিযোগ উঠছে। মঙ্গলবারও সেই অভিযোগ তুললেন হুগলি জেলার চন্ডীতলার বাসিন্দারা। অভিযোগ গত মাসের ২৩ তারিখ কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত ব্যাক্তি শেখ শবর আলির শ্বাসকষ্টের সমস্যা হয়। বাড়ির লোকেরা সবাই উত্তরপাড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। শারীরিক অসুস্থতা বাড়ার জন্য পরিবারের লোকেদের প্রথমে কলকাতায় নিয়ে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়।
সেই কথা মত গত মাসের ২৫ তারিখ তিলজলা রোড়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় পঞ্চান্ন বছরের শেখ শবরকে। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই করোনা পরীক্ষা করার কথা জানানো হয় হাসপাতালের তরফে। করোনা পরীক্ষার অনুমতি দেবার পরেই জানানো হয় ২৬ তারিখ সেই রিপোর্ট পাওয়া সম্ভব হবে। সেই দিন রিপোর্ট আসার পরেই জানানো হয় শেখ শবর আলি করোনা পজিটিভ। করোনা সংক্রমণের কথা ভেবে বলা হয় বাড়ির লোক রোগীর সঙ্গে দেখা করতে পারবে না। প্রতিদিন বিশাল টাকার অঙ্কের বিল মেটাতে হয় শবর আলির পরিবারকে। অভিযোগ টাকার পরিমাণ দিতে না পারায় অন্য হাসপাতালের কথা ভাবা হয় পরিবারের তরফে। আরও অভিযোগ সোমবার বিল মিটিয়ে অন্য হাসপাতালের জন্য অ্যাম্বুলেন্স ব্যবস্থা হবার পরেই হাসপাতালের তরফে জানানো হয় মৃত্যু হয়েছে শবর আলির। ক্ষোভে ফেটে পড়েন চন্ডিতলার পরিবার।
শবর আলির বন্ধু বলেন, সোমবার নয়, শবর মারা গেছে শনিবার। একজন মৃত ব্যাক্তিকে ভেন্টিলেশনে রেখে টাকা নেবার ছক ফেঁদে ছিল হাসপাতাল।এই সমস্ত অভিযোগ কড়েয়া থানায় জানানো হয়। পরিবারের তরফে পুলিশকে আবেদন করা হয় দেহটির ময়নাতদন্ত করে প্রকৃত মৃত্যুর দিন জানানো হোক। করোনা পজিটিভ কিনা সেটাও সন্দেহ থাকায় তারও উত্তর চান মৃতের আত্মীরা। দেহটিকে বর্তমানে শিয়ালদহের নীল রতন মেডিকেল কলেজে ও হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। পারিবার সূত্রে খবর ময়নাতদন্ত হবে বুধবার। যদিও হাসপাতালের তরফে এখনও কোন প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirus, Hospital