#কলকাতা: বহুতল আবাসন চিন্তা বাড়াচ্ছে কলকাতা পুরসভা এলাকায়। সমস্যা মেটাতে আবাসনে মাইক্রোপ্ল্যানিংয়ের কাজ শুরু করতে চায় কলকাতা পুরসভা। কিন্তু অধিকাংশ আবাসনে কোনও ভাবেই পুরসভার স্বাস্থ্য ও সাফাইকর্মীদের প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। ফলে প্রতিদিন আবাসনের বাসিন্দাদের স্বাস্থ্য মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠছে পুরসভার কাছে।
পুুুরসভা সূত্রে খবর, আবাসনের লিফট, পার্কিং লট কোথাও আবার সুইমিংপুল বা বাগান জীবাণু ছড়ানোর আঁতুড় হয়ে উঠছে। যেহেতু লকডাউন বা আনলক পর্বে খুব বেশি সংখ্যক আবাসনের মানুষ বাইরে বেরোচ্ছেন না তারা আবাসনের মধ্যে থাকা এই সব জায়গায় বেশি সময় কাটাচ্ছেন। এর ফলে যদি ওই আবাসনের কেউ আক্রান্ত যিনি হয়তো জানেনই না তিনি সেখানে থাকলে বাকিদের মধ্যেও করোনা ছড়ানোর একটা আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে। ফলে আবাসনের মধ্যে ঠিক কী অবস্থা তা নিয়ে চিন্তায় কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের অফিসাররা।
কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, "একটা সমস্যা থেকে যাচ্ছে। এর প্রধান কারণ সমন্বয় ও যোগাযোগের অভাব। আমাদের অনেক স্বাস্থ্য ও সাফাই বিভাগের কর্মী আবাসনের বাসিন্দাদের বোঝাতে পারছেন না। আর তারাও ভিতরে প্রবেশ করতে দিতে চাইছেন না।"
কিন্তু পুরসভার কর্মীরা কেন ভিতরে যেতে চাইছেন? কারণ, পুরসভা চাইছে নিয়মিত আবাসন স্যানিটাইজ করা হোক। জীবাণুমুক্ত না করা হলে সমস্যা আরও বাড়বে। এর পাশাপাশি চিন্তা বেড়েছে আবাসনের মধ্যে থাকা লিফট নিয়ে। কারণ একই লিফট আবাসনের একাধিক মানুষ ব্যবহার করছেন। সেই লিফট প্রতিবার ব্যবহারের ফলে যথাযথ স্যানিটাইজ করা হচ্ছে না। ফলে লিফট স্যানিটাইজেশন করা জরুরি।
পুরসভা সূত্রে খবর, তারা চাইছেন যদি ওই আবাসন নিজে থেকে না স্যানিটাইজ করে থাকে তাহলে পুরসভা তা করে দিতে চায়। কিন্তু তাদের কর্মীদের তো ভেতরে প্রবেশের অনুমতি দিতে হবে। সেটাই তো হচ্ছে না। তাই আপাতত ঠিক হয়েছে পুরসভার তরফে বস্তির মতো আবাসনেও দ্রুত মাইক্রোপ্ল্যানিং এর কাজ শুরু করা হবে।