#নয়াদিল্লি: দিল্লিতে বেড়ে চলেছে করোনা সংক্রমণ৷ এমন পরিস্থিতিতে করোনার অতিমারি নিয়ে আবারও মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। একই সঙ্গে করোনার সংক্রান্ত নানা ধরণের প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। করোনা মোকাবিলায় আবারও দিল্লিতে কি লকডাউন হচ্ছে? বাজার বন্ধের পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে?জনসাধারণের মন থেকে এই সমস্ত প্রশ্ন দূর করতে, সোমবার দিল্লি সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন একটি বড় ঘোষণা করেছেন।
নিউজ 18 ইন্ডিয়ার সাংবাদিকের প্রশ্নে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন পরিষ্কার জানিয়েছেন যে, দিল্লিতে লকডাউন হওয়ার সম্ভাবনা আর নেই। তিনি বলেছেন যে, প্রথম লকডাউনের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে একটা নিয়মের মধ্যে আনার চেষ্টা করা হয়েছিল। এই লকডাউন থেকে সকলে যে পাঠটি শিখেছেন তা হল সর্বক্ষণ মাস্ক পরে থাকা এবং শারীরিক দূরত্বে মেনে চললে করোনার সঙ্গে লড়াই সম্ভব৷ এই হিসেব দিতে গিয়ে তিনি একটি উদাহরণ তুলে ধরেছেন৷ তিনি বলছেন যে, হাসপাতালের কর্মীদের মধ্যে সংক্রমণ কম দেখা গিয়েছে, কারণ তারা সবসময় সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে থাকেন। এই জানিয়ে তিনি বলেন যে ফের একবার লকডাউনের কোনও সুযোগ নেই৷
দিল্লিতে কি বাজার বন্ধ করা হবে? এ সম্পর্কে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন জানিয়েছে, এ নিয়ে কোনও পর্যালোচনা হয়নি। উৎসবের মরসুম এখন চলে গেছে। তাই ভিড় কমে যাবে৷ তবুও এটাই বলার যে, নিয়ম মেনে চলুন এবং মাস্ক ব্যবহার করুন। ইতিমধ্যেই দিল্লিতে করোনার তৃতীয় তরঙ্গ চলে গিয়েছে৷ প্রথম তরঙ্গ জুনে ছিল, দ্বিতীয় সেপ্টেম্বর এবং তৃতীয় তরঙ্গ সবেমাত্র এসেছিল। অর্থাৎ করোনা সংক্রমণের তৃতীয় শিখর ছুঁয়ে ফেলেছে দিল্লি। যাতে করোনা আক্রান্তের হার ছিল ১৫ শতাংশ।
তবে নিয়মকে আরও কঠোর ভাবে মেনে চলার কথা বলেছেন কেজরিওয়াল সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী৷ তিনি বলেছেন যে মাস্ক ব্যবহার এবং শারীরিক দূরত্ব মেনে চলা খুবই জরুরী৷ যারা এই নিয়ম অনুসরণ করবেন না তাদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি জানান, ছাট পুজোয় সবাই একসঙ্গে পুকুরে নামেন, এমনই রীতি। ৫ জন যদি করোনা পজিটিভ হন তবে সবাই সংক্রমিত হবেন। এত বড় ঝুঁকি সরকার নিতে পারবে না।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirus