#নয়া দিল্লি: যদি লকডাউন না থাকত, তাহলে ভারতে এখন আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছে যেত লক্ষের কোঠায়। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে এমনই মন্তব্য করলেন নীতি আয়োগের সদস্য ডক্টর ভি কে পাল। আর একমাস লকডাউনের পরেও দেশে আক্রান্তের সংখ্যা এখনও কেন পাল্টায়নি? কেন এখনও দিন দিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা? নীতি আয়োগের সদস্য বলছেন, করোনা আক্রান্তের সংখ্যায় লকডাউনের প্রভাব নিশ্চিতভাবেই পড়বে। তবে সেই প্রভাব আরও স্পষ্ট হবে আগামী মে মাসের প্রথম বা দ্বিতীয় সপ্তাহে।
তিনি সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘এই মুহূর্তে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। বেশি বেশি করে টেস্টিং করার জন্যই এই আক্রান্তদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে বলে দাবি করেছেন তিনি।’ তিনি মনে করেন, দেশের করোনা পরিস্থিতি এর থেকে খারাপ হতে পারে না। তাই ভারত সঠিক সময়ে লকডাউনে গিয়ে অনেকটাই করোনা সংক্রমণ রুখে দিতে পেরেছে। আর সেই লকডাউনের প্রভাব আরও স্পষ্ট হবে মে মাসের প্রথম ও দ্বিতীয় সপ্তাহে। দেখা যাবে কীভাবে কমছে সংক্রমণের পরিমাণ।
৩ মে–র পরে কী পথে যাবে দেশ, তা নিয়ে অবশ্য মন্তব্য করতে চাননি নীতি আয়োগের সদস্য। তিনি বলেছেন, এখনই সেই ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় আসেনি। পরিস্থিতি বিচার করে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে। কিন্তু একথাও তিনি মনে করিয়ে দেন, ২১ মার্চ দেশে করোনা সংক্রমণের ডাবলিং রেট ছিল তিনদিনের কিছু বেশি। আর আজ সেটা ১০ দিনের বেশি হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর সেটা হয়েছে সরকারি পদক্ষেপের কারণেই।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirus, Lockdown, NitiAyog