#দিল্লি: রামপুকার পণ্ডিত। ভারতীয় পরিযায়ী শ্রমিকের অশেষ দুঃখের আখ্যানে শেষতম সংযোজন। দিল্লি থেকে বাড়ি ফিরতে চেয়ে হাঁটা লাগিয়েছিলেন। একটাই আশা ছিল, মৃত্যুপথযাত্রী ছেলেকে একবার দেখবেন। যুদ্ধ শেষে গ্রামে ফিরলেন রামপুকার। ততক্ষণে অবশ্য ছেলের শরীটা দাহ হয়ে গিয়েছে।
কান্নায় ভেঙে পড়ে রামপুকার বিলাপের মতো বলে চলেন, "আমাদের কোনও জীবন নেই। আমরা সাইকেলের চাকার মতো। ঘুরছি তো ঘুরছি।"
দিল্লির একটি সিনেমাহল নির্মাণের কাজ করছিলেন রামপুকার। ১১ মে তাঁকে দিল্লির নিজামুদ্দিন ব্রিজের কাছে দেখতে পান, পিটিআই ফোটোগ্রাফার অচতুল যাদব। ছবিতে ধরা পরে, রামপুকার এক কানে ফোন ধরে হাউমাউ করে কাঁদছেন। সাংবাদিকদের তিনি জানান, ১২০০ কিলোমিটার দূরে তাঁর বাড়ি। সেখানেই মৃত্যুপথযাত্রী ছেলে রয়েছে। ছেলে একবার চোখের দেখা দেখতে চেয়েছে তাঁকে। কিন্তু তিনদিন ধরে কাতর মিনতি করেও পুলিশের মন গলাতে পারেননি তিনি। পুলিশ বলেছেন, "তুমি গেলে কি ছেলে ভাল হয়ে যাবে?"
সেই কোন ছেলেবেলায় কাকার হাত ধরে দিল্লিতে কাজ করতে এসেছিলেন রামপুকার। জীবন যে এমন শোধ নেবে তা স্বপ্নেও ভাবেননি তিনি। এক সাংবাদিকই রামপুকার পণ্ডিতকে ৫,৫০০ টাকা দিয়ে বাড়ি ফেরার বিশেষ ট্রেনের টিকিট কেটে দেন। কিন্তু বাড়ি ফেরা হয়নি রামপুকারের। খবর পেয়েছেন ছেলে রামপ্রবেশের। শেষকৃত্যে তো যেতে পারেননি। ঠাঁই হয়েছে বেগুসরাইয়ের কোয়ারেন্টাইনে।
রামপুকার বলেন, প্রলাপের মতো বলে চলেন,"আমাদের মতো মজুরের কোনও দেশ নেই। আমাদের জীবনের কোনও মূল্য নেই।"
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirus, COVID-19, Migrant labour