ভারতে করোনা সংক্রমণ রুখতে অবিলম্বে ১৫টি রাজ্যের ৩৬টি জেলায় বিশেষ নজরদারি চালানোর পরামর্শ দিল ICMR বা ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ৷ এই জেলাগুলির মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের ৬টি জেলাও রয়েছে৷ আইসিএমআর-এর সমীক্ষায় ধরা পড়েছে, ওই জেলাগুলি থেকে যে করোনা আক্রান্তদের খোঁজ মিলেছে, তাঁদের মধ্যে চল্লিশ শতাংশেরই বিদেশযাত্রা বা অন্য কোনও করোনা আক্রান্তের সংস্পর্শে আসার তথ্য পাওয়া যায়নি৷ ফলে, ওই জেলাগুলিতে গোষ্ঠী সংক্রমণের আশঙ্কা অনেকটাই বেশি বলে মনে করছে আইসিএমআর৷
১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ২ এপ্রিলের মধ্যে Acute Respiratory Infections(SARI) বা গুরুতর শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগতে থাকা ৫৯১১ জন রোগীকে নিয়ে একটি সমীক্ষা চালায় আইসিএমআর৷ তার মধ্যে ১০৪জন রোগীর করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে৷ কিন্তু এই ১০৪ জনের মধ্যে ৪০ জনই বিদেশযাত্রা করেননি বা করোনা আক্রান্ত অন্য কোনও ব্যক্তির সংস্পর্শে আসেননি বলেই দাবি করা হয়েছে ওই রিপোর্টে৷
মহারাষ্ট্রের ৮টি, পশ্চিমবঙ্গের ৬টি, দিল্লি এবং তামিলনাড়ুর ৫টি করে জেলায় গুরুতর শ্বাসকষ্টে ভুগতে থাকা রোগীদের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার প্রমাণ মিলেছে৷ করোনার গোষ্ঠী সংক্রমণ রুখতে এই জেলাগুলির উপরে বিশেষ জোর দেওয়া উচিত বলে দাবি করেছে আইসিএমআর৷ রিপোর্টে বলা হয়েছে, 'গুরুতর শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগতে রোগীদের মধ্যে যাঁরা করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে এক তৃতীয়াংশেরই বিদেশযাত্রা বা করোনা আক্রান্ত কারও সংস্পর্শে আসার কোনও ইতিহাস নেই৷ দেশের ১৫টি রাজ্যের ৩৬টি জেলায় এমন রোগীদের খোঁজ মিলেছে৷'
গুরুতর শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগতে থাকা যে রোগীদের মধ্যে করোনা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ১৪ মার্চের আগে যেখানে ০ শতাংশ ছিল, সেখানে ২ এপ্রিলে তা বেড়ে হয়েছে ২.৬ শতাংশ৷
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirus