#কলকাতা: যিনি রাঁধেন, তিনি চুলও বাঁধেন। যিনি আইন রক্ষার বা যাত্রীদের নিরাপত্তা দেওয়ার কাজ করেন তিনি আবার মাস্ক তৈরিও করেন। ভারতীয় রেলে কর্মরতা মহিলা আরপিএফ কর্মীরা বানাতে শুরু করলেন মাস্ক। হাওড়া ডিভিশনের মহিলা আরপিএফ যারা আছেন, তাদের অফিসে চলছে এই কাজ।
মাস্ক তৈরি করার জন্য বাছাই করা হয়েছে কাপড়। সেই কাপড় মাস্ক বানানোর জন্য যথাযথ ভাবে কাটা তারপর সেলাই মেশিনে স্টিচ করা, শেষে মাস্ক প্যাকিং করা সবটাই করছেন মহিলা আরপিএফ কর্মীরা। তবে শুধু হাওড়া নয়, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আর পি এফ রক্ষীরা এই ধরণের কাজ করে চলেছেন। এখন যেহেতু প্যাসেঞ্জার বা যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করছেনা তাই অন্যান্য সময় যে যে কাজ করতে হয় এখন সেই কাজ অনেকটাই শিথিল। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আপাতত মহিলা আর পি এফ যারা আছেন তাদের এই কাজে নিয়োজিত হতে বলা হয়েছে।
রেলের একাধিক হাসপাতাল আছে। সেখানে রেলের বহু চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী কাজ করছেন। তাদের পাশাপাশি রেলের যারা অত্যাবশকীয় কাজে নিয়োগ আছেন তাদের সকলের প্রয়োজন এই মাস্ক। যেহেতু চিকিৎসকরা বারবার বলছেন প্রত্যেককে মাস্ক ব্যবহার করতে তাই এর চাহিদাও বাড়ছে। একই মাস্ক দীর্ঘদিন ব্যবহার করা যায়না। ফলে যতদিন এগোচ্ছে তত এই মাস্কের চাহিদা বাড়ছে। ফলে মাস্কের জোগান যাতে স্বাভাবিক থাকে তাই আর পি এফ - ও মাস্ক বানানোর কাজ শুরু করে দিলেন।অন্যদিকে, আর পি এফ শুধু কলকাতাতেই বিভিন্ন জায়গায় খাবার খাওয়ালো ২৩৫৪ জনকে।
আগামী ৩ মে পর্যন্ত এভাবেই খাবারের দায়িত্ব নিচ্ছে আরপিএফ। হাওড়া, শিয়ালদহ স্টেশনের পাশাপাশি প্রতিদিন আসানসোল, বরাকর, যশিডি, মালদা, মধুপুর, রাণাঘাট, নবদ্বীপধাম, মালদহ, শ্রীরামপুর, শেওড়াফুলি, বিধাননগর, বালিগঞ্জ স্টেশনেও চলছে খাওয়ানোর ব্যবস্থা। এছাড়া, মালদহ ডিভিশনে নিউ ফারাক্কা স্টেশনে ২৫টি পরিবারকে ৫ কেজি চাল, ২ কেজি আলু, ১ কেজি পেঁয়াজ দিয়েছে। কাঁচড়াপাড়ায় ২০০ পরিবারকে ২ কেজি করে চাল, ২ কেজি করে আলু দেওয়া হয়েছে। কলকাতা স্টেশনের বাইরেও ৫০ জনকে দেওয়া হয়েছে খবর। আসানসোলের জামতাড়ায় ১২০ পরিবারকে ২ কেজি চাল ও ২ কেজি আলু দিয়ে সাহায্য করেছে।
Abir Ghoshal
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirus, Coronavirus in India, RPF