#ফ্রাঙ্কফুর্ট: এই মুহূর্তে গোটা বিশ্বে করোনা ভাইরাস আক্রান্তের নিরিখে জার্মানি রয়েছে পঞ্চম স্থানে। তবে এই দেশে চিকিৎসা পদ্ধতি কার্যত অন্যান্য দেশকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। অন্তত এমনটাই জানাচ্ছেন ইনস্টিটিউট ফর কার্ডিওভাসকুলার রিজিনেরেশনের বাঙালি বিজ্ঞানী দেবাঞ্জন মুখোপাধ্যায়। জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টের অন্যতম বড় হাসপাতাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতলে সেন্টার অফ মলিকিউলার মেডিসিনে গবেষক হিসেবে কাজ করেন এই বাঙালি বিজ্ঞানী। প্রত্যেকদিন লক্ষাধিক টেস্ট করা হচ্ছে জার্মানিতে যার জেরে সুস্থতার সংখ্যাও ইতালি, স্পেন, ফ্রান্সের চেয়ে অনেকটাই বেশি বলেই দাবি করছেন এই তিনি। সেই অভিজ্ঞতার কথাই জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট থেকে লিখছেন এই বাঙালি বিজ্ঞানী।
জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট থেকে এই বাঙালি বিজ্ঞানী জানাচ্ছেন " জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টের অন্যতম বড়় হাসপাতাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতলে প্রত্যেকদিন হাজার হাজার করোনা আক্রান্ত রোগী টেস্ট করাচ্ছে। অনেকে সুস্থ হচ্ছেন। একুশে এপ্রিল পর্যন্ত ১৪৫০৬৫ জনের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। যার মধ্যে ৯৫২০০ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এত সংখ্যক রোগীর সুস্থ হওয়া এটা প্রমাণ করছে অন্যান্য প্রতিবেশী দেশ ইতালি, স্পেন, ফ্রান্সের তুলনায় সুস্থতার হারের নিরিখে অনেকটাই এগিয়ে জার্মানি। এর পিছনে রহস্য হল দেশজুড়ে কড়াভাবে লকডাউন কার্যকরী করা হয়েছে। এই লকডাউন সত্ত্বেও স্বাস্থ্য পরিকাঠামো, একাধিক টেস্ট এবং বিভিন্ন আক্রান্তদের সঙ্গে যোগাযোগ অনেকটাই জার্মানিকে এগিয়ে দিয়েছে। জার্মানির মতো ছোট দেশে প্রথমদিকে প্রত্যেকদিন ১ লক্ষ করে করোনার টেস্ট করা হচ্ছিল যেটা অনেকটাই এই দেশে পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণে করতে পেরেছে।"
চিকিৎসা ব্যবস্থার পাশাপাশি দৈনন্দিন জীবনে অনেকটাই তাক লাগিয়েছে এই দেশ। সেই অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে এই বাঙালি বিজ্ঞানী বলেন " এই দেশে লকডাউন চললেও দৈনন্দিন জীবনে খুব একটা প্রভাব ফেলেনি। ২২শে মার্চের পর থেকে ১.৫ মিটার ন্যূনতম সোশ্যাল ডিসটেন্স মানা বাধ্যতামূলক হয়েছে। পরিবহণ ব্যবস্থার কিছুু অংশ সচল থাকলেও এখানে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, থিয়েটার, মল সবকিছুই বন্ধ রয়েছে। বাজার পার্কগুলি খোলা থাকলেও সোশ্যাল ডিসটেন্সমেনে চলা এখানে বাধ্যতামূলক।৮০০ স্কোয়ার ফিটের নিচে থাকা দোকানগুলি খোলা হয়েছে। তবে এখানে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই কমেছে।"
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirus, COVID19