#কলকাতা: গত কয়েক বছরে কলকাতার ফুড স্ট্রিটের রোড ম্যাপটাই গিয়েছে বদলে। এখন শহর বা শহরতলির অলিতে গলিতে একাধিক হোটেল, রেস্তোরাঁ। একটু আধুনিক ব্যবস্থায় ভাবতে গেলে কাফে। এক সময়ের কলকাতা বা শহরতলির কেবিন নামক রেস্তোরাঁয় কাটলেট, ফিশ ফ্রাই বা মোগলাই পরোটার জমানা গিয়েছে বদলে। কিন্তু লকডাউন মিটলে আদৌ কি চালু থাকবে সমস্ত হোটেল, রেস্তোরাঁ। নাকি সেখানেও পড়বে চাবিকাঠি। ফলে লকডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে বেশ চিন্তিত হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট অ্যাসোসিয়েশন।
গ্রেট ইস্টার্ন হোটেলে ঢোকার ঠিক বিপরীত বাড়িতেই রয়েছে এক হোটেল। যে বাড়িতে বসে হিসেব দিচ্ছিলেন হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আধিকারিকরা। হিসেব বলছে আমাদের রাজ্যে ছোট, বড়, মাঝারি মিলিয়ে প্রায় ৪০ হাজার রেস্তোরাঁ রয়েছে। হোটেলের সংখ্যা প্রায় ২০ হাজারের কাছাকাছি। এছাড়া পাড়ায় পাড়ায় রয়েছে রোল-চাউমিন-মোমোর দোকান। সেই সংখ্যাও নেহাত কম নয়। যদিও তা হিসেবের মধ্যে ধরা নেই। সন্দেহ লকডাউন মিটে গেলেই মানুষের হাতে ক্রয় ক্ষমতা কমে যাবে।
অর্থনীতির হাল বেহাল হলে মানুষের হাতে কমবে পয়সা। ফলে ক'জন মানুষ একা বা স্ব-পরিবারে রেস্তোরাঁ বা হোটেলে খাবার খেতে যাবেন তা নিয়েই রয়েছে সংশয়। ফলে এই অবস্থায় একটি হোটেল বা রেস্তোরাঁ চালাতে যে টাকা প্রতিমাসে এস্ট্যাবলিশমেন্ট কস্ট হিসাবে খরচ হয় সেটাই তো উঠে আসবে না। ফলে যারা কর্মী রয়েছেন তাদের মাইনে কিভাবে দেওয়া হবে? আর বাজার খারাপ হলে কোনও ভাবেই খাবারের দাম বাড়ানো যাবে না। ফলে মানুষের চাহিদা কমবে। আর তাতেই তালা ঝুলবে হোটেল ও রেস্তোরাঁয়।হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের পূর্বঞ্চলীয় সভাপতি সুদেশ পোদ্দার জানাচ্ছেন, "ইতিমধ্যেই এই শিল্পের প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়ে গেছে। এই ক্ষতি পুষিয়ে আর ব্যবসা ঘুরে দাঁড়াবে না বলে আমরা আশা করিনা।" কত সংখ্যক ব্যবসায়ী এই ব্যবসায় জড়িত থাকবেন তা নিয়েও সংশয়ে সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
Abir Ghoshal
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirus, Coronavirus in India