#শিলিগুড়ি: মাছের রানী ইলিশ! আর তা যদি হয় সর্ষে ভাপা। তাহলে তো আর কথাই নেই! বাঙালি আর ইলিশ ভাপা! এই মেনু লা জবাব! এক্কেবারে ষোলো আনা বাঙালিয়ানা। আজ ভবঘুরেদের পাতে পড়লো ইলিশ ভাপা! হ্যাঁ, শিলিগুড়ির বিধাননগরে। গত কয়েক দিন ধরেই বিধাননগরে রকমারি মেনুর আয়োজন হয়ে আসছে।
কোনও দিন মাংস ভাত, আবার কোনও দিন চিকেন, ফ্রায়েড রাইস! নিজেরা কি খাচ্ছেন, সেদিকে না তাকিয়ে বিধাননগরে প্রতিদিনই স্থানীয় বাসিন্দারা ভবঘুরেদের পাতে তুলে দিচ্ছে বাঙালির প্রিয় আইটেম। শুধু ভবঘুরেদের নয়, কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীদের হাতেও আজ তুলে দেওয়া হল ইলিশ ভাপা আর ভাত। সঙ্গে ছিল ইলিশের মাথা দিয়ে লাউ ঘন্ট! পটল ভাজা, নিরামিষ তরকারি, ডাল আর চাটনি!
কলকাতা পুলিশের এক কর্মী বাপন দাস সোশ্যাল মিডিয়ায় ভবঘুরেদের খাওয়াতে স্থানীয়দের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। আর তাতেই প্রতিদিন মিলছে সাড়া। এগিয়ে আসছেন বিধাননগরের ব্যবসায়ী থেকে সমাজসেবীরা। লকডাউনের আজ ৪২তম দিন। এমন দিন যায়নি, যেদিন খাবার পায়নি এই ভবঘুরেরা। আর খাবার বলতে ডাল, ভাত, সবজি নয়। ডিম, মাছ, চিকেন, মাংস, ফ্রায়েড রাইস!
এক একদিন এক এক রকমের মেনু! সাধারণ মানুষেরা দু'বেলা খাবার যেখানে পাচ্ছে না, সেখানে বিধাননগরের ভবঘুরেরা রয়েছে বহাল তবিয়তে! এদিন এগিয়ে আসেন বিধাননগর ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সভাপতি তপন পাল। তাঁর স্ত্রী অমৃতা পাল নিজের হাতেই রান্না করেন সর্ষে ভাপা ইলিশ! তারপর ৩১ নং জাতীয় সড়কের ধারে থাকা ভবঘুরেদের পেটপুরে খাওয়ানো হয়। দোকানপাট খোলা থাকলে দোকানি বা পথ চলতি মানুষেরাই খাওয়াতেন ওদের! কিন্তু লকডাউনের জেরে বন্ধ দোকানপাট। খাওয়ার জুটবে কি না তা নিয়ে যখন ভাবতে বসেছিল ওরা, সেই সময় পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন বিধাননগরের সহৃদয় ব্যক্তিরা। অন্য এলাকাকে পেছনে ফেলে নয়া দিশা দেখাচ্ছে সহৃদয় ব্যক্তিরা।
Partha Pratim Sarkar
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Corona, Coronavirus, COVID-19, Hilsa special menu, Home Lockdown, Lock Down, Stay Home