#কলকাতা: ভাইজ্যাগের গ্যাস দুর্ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে এই রাজ্যে রাসায়নিক কারখানা ও হিমঘরের ফায়ার অডিট করতে চলেছে দমকল। সোমবার দমকলের সদর দফতরে এই বিষয়ে জরুরি বৈঠক করেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় কত রাসায়নিক কারখানা ও হিমঘর রয়েছে তার তালিকা তৈরি করতে হবে। সেগুলি কি অবস্থায় রয়েছে তাও ভালো করে খতিয়ে দেখে সাত দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে হবে।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, লকডাউনের পরে কোনও কারখানা খোলার আগে জানাতে হবে দমকলকে। দমকল ফায়ার অডিট করার পর সব ঠিকঠাক থাকলে কারখানা খোলা যাবে।
দমকলের ডিভিশনাল অফিসারদের এদিন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তারা যেন প্রত্যেক কারখানায় গিয়ে সেখানকার অগ্নিনির্বাপণ ও রক্ষণাবেক্ষণ ব্যবস্থা ভালো করে পরীক্ষা করে দেখেন। শহরতলীর কোনও কারখানায় যদি এধরনের বিষাক্ত গ্যাসের কাজ হয় বা রক্ষণাবেক্ষণের অভাব থাকে, তাহলে আগে তা ঠিক করার পর কারখানা খুলতে হবে। যে সমস্ত রাসায়নিক কারখানার নিজস্ব অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা রয়েছে তারাও যাতে দমকলের পরামর্শ মেনে কারখানা খোলে তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
দমকল মন্ত্রী বলেন, "ভাইজ্যাগের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় সেই প্রার্থনা করছি। সেজন্যই আমরা ফায়ার অডিট সিস্টেমকে আরও জোরদার করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। শহর, শহরতলি ও জেলায় যে সমস্ত রাসায়নিক কারখানা, হিমঘর বা রাসায়নিক দ্রব্যের ব্যবহার হয় এমন কারখানা রয়েছে তাদেরকে এই ফায়ার অডিট সিস্টেমের আওতায় আনা হয়েছে। সিদ্ধান্ত হয়েছে, কারখানা খোলার আগে দমকলকে জানাতে হবে। দমকলকর্মীরা গিয়ে ভালো করে খতিয়ে দেখবেন সেখানে সবকিছু ঠিকঠাক রয়েছে কিনা। কারখানাগুলিকে নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শও দেওয়া হবে।"
লকডাউন পর্বে যে সমস্ত বেসরকারি সংস্থায় কাজ বন্ধ আছে, সেখানে কোনও কর্মী না এলেও ফায়ার ফাইটিং সিস্টেম মেইনটেনেন্স-এর লোক যাতে রাখা হয় সে ব্যাপারে বেসরকারি সংস্থাগুলিকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হবে। এর পাশাপাশি বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে যেকোনও ধরনের কেমিক্যাল ফায়ার হলে দ্রুত কাজ করার জন্য বিশেষ কিছু পোশাক ও ফোম টেন্ডার কেনা হবে।
দমকলমন্ত্রী জানান, লকডাউন মিটলেই যেসব কারখানা খোলা হবে নিরাপত্তার খাতিরে তাদের জন্য কিছু গাইডলাইন তৈরীর কাজ চলছে। পরবর্তীতে কারখানা বা অফিস চালাতে গেলে সেই গাইডলাইন মেনেই সমস্ত বেসরকারি ও সরকারি সংস্থাকে কাজ করতে হবে।
Sujoy Pal