#ঘাটাল: ‘বর্তমানে সব থেকে বড় ইস্যু হলো বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরানো। রাজ্য সরকার সবরকম ভাবে তা চেষ্টা করছে। একজন সাংসদ হিসেবে আমার দিক থেকে যত ফান্ড, সব ফান্ড গুলো এখন স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে লাগানো উচিৎ। এতদিন সামাজিক দূরত্বের নিয়ম মানতে আমি আসিনি। আমি এলে ভিড় হয়ে যেত। আর ত্রাণ, খাবার দিয়ে ছবি তোলায় আমি বিশ্বাস করি না। খুব দৃষ্টিকটূ লাগে।’ আজ মেদিনীপুরে এসে সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই জানালেন ঘাটালের সাংসদ দীপক অধিকারী (দেব)।
তিনি বলেন, ‘এই করোনা ভাইরাস এখনই যাচ্ছে না। ফলে লকডাউনও উঠে যাচ্ছে না। এখনও সময় আছে, আমাদের স্বাস্থ্যের পরিকাঠামোকে আরও ঠিক করার। হাসপাতাল গুলিতে যেন পর্যাপ্ত ICU বেড থাকে, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা, করোনা কিট যেন পর্যাপ্ত থাকে এগুলো আমাদের দেখতে হবে, কারণ আমাদের করোনাকে নিয়ে বাঁচতে হবে। পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফিরিয়ে আনতে হবে, কিন্তু তাঁদের শুধু আনলেই হবে, এনে কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করতে হবে, অনেক শ্রমিক আছেন, যাঁদের একটা ঘরেই পরিবারকে নিয়ে থাকতে হয়, তাঁদের ক্ষেত্রে পরিবারকে আলাদা রাখতে হবে, এই বিষয়গুলো আগে দেখতে হবে। তবে এই সময় রাজনীতি করার সময় নয়। ২০২১ এর নির্বাচন আসছে, সেজন্য সরকারের বিরোধিতা করতে হবে, সরকার সাহায্য করছে না, আমি সাহায্য করছি, তাই আমাকে ভোট দেবেন, এসব বলার সময় এখন নয়। এই পরিস্থিতিতে সমস্ত দলকে এক হয়ে করোনা মোকাবিলায় কাজ করতে হবে। এই সময়টা হচ্ছে মানুষকে ভালো রাখার সময়।’
তবে পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশার জন্য তিনি পরোক্ষ ভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, ‘চার ঘন্টার নোটিসে ভিনরাজ্যে থাকা শ্রমিকরা নিজের রাজ্যে ফিরতে পারবে না, এটা বোঝা উচিৎ ছিল। কোনো সরকারের কাছে এই তথ্য ছিল না যে তার রাজ্যের কত শ্রমিক ভিনরাজ্যে কাজ করেন। সময়ের সঙ্গে তা রাজ্য সরকারগুলির কাছে স্পষ্ট হয়েছে। পরিযায়ী শ্রমিকদের থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা যদি কেন্দ্রীয় সরকার বা যে রাজ্যে তাঁরা আটকে আছেন, সেই রাজ্যের সরকার করত, তাহলে এইরকম ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হত না। আমারও কষ্ট হয়, এটা ভেবে যে যারা আমাদের দেশের ভোটার নয়, বিদেশে থাকে, তাঁদের জন্য বিমানের পর বিমান পাঠাতে পারি। কিন্তু যাঁরা আমাদের দেশের মানুষ, উন্নয়নে যাঁরা সাহায্য করেন, আমাদের দেশের ভোটার, তাঁদের আমরা আনতে পারছি না।’
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।