#মিলান: ইতালির মিলানে জনসমক্ষে চুমু খাওয়ার জন্য দম্পতিকে ৩৬০ পাউন্ড (৩৪,০০০ টাকারও বেশি) জরিমানা করা হয়৷ কারণ, এভাবে প্রকাশ্যে একে অপরকে জড়িয়ে ধরা কার্যত করোনা নির্দেশিকা লঙ্ঘন করা ৷ ঘটনাটি ঘটে ৯ অক্টোবর৷ ৪০ বছর বয়সি ইতালির বাসিন্দা এবং তাঁর পোলিশ বাগদত্তা রাস্তার মধ্যে চুমু খেতে গিয়ে মুখ থেকে সরিয়ে ফেললেন মাস্ক! এরপরই বিপত্তি! চুম্বনরত যুগলকে ঘিরে ধরলেন ৪জন পুলিশ অফিসার। তাঁরা বাধ্য হয়ে দেখান তাঁদের এনগেজমেন্টের প্রমাণপত্র, যা দেখে বোঝা যায় যে তাঁরা আড়াই বছর ধরে একে অপরের সঙ্গী৷ সম্পর্কের প্রমাণ হিসাবে স্মার্টফোনে ছবি, ভিডিও এবং মেজেস দেখালেও পুলিশ আধিকারিকরা তাঁদের বিষয়ে সন্দিহান ছিলেন৷ বিশেষত তাঁদের প্রস্তুত করা নথিতে আলাদা ঠিকানা ছিল।
দু’জনের পরিচয় জানার পর, অফিসাররা তাঁদের ইতালি সরকারের বিধি অনুসারে ৩৬০ পাউন্ড জরিমানা করে৷ সেদেশে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সবাইকে মাস্ক পরতে হবে এবং একে অপরের থেকে কমপক্ষে এক মিটার দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। এই নিষেধাজ্ঞাগুলি যাঁরা একসঙ্গে থাকেন, তাঁদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য না।
চুম্বনরত দম্পতির অভিযোগ, তাঁরা যখন চুমু খাচ্ছিলেন, সেই সময় আশপাশে অন্য কেউ উপস্থিত ছিলেন না৷ তাই তাঁদের অযথা জরিমানা করা হয়েছে বলে অভিযোগ৷ কয়েক মাস আগে ইতালির পুলিশ সমুদ্র সৈকতে আড়ি পাতে৷ সেখানে উপস্থিত সকলে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখছে কিনা, তা দেখতেই ড্রোন ব্যবহার করে৷ সেই ড্রোনের ছবি দেখে এক ব্যক্তির ওপর জরিমানা চাপিয়ে দেয়৷ যদিও এই নিয়ে পরবর্তীতে বিতর্ক তৈরি হয়৷ সমালোচিত হয় পুলিশ। অনেকে অভিযোগ করেছিলেন , পুলিশ জোর জবরদস্তি করছে এবং এভাবে জরিমানা আদায় করা ঠিক নয়।
ইউরোপিয় দেশগুলির মধ্যে ইতালিতে ভয়ানক থাবা বসায় করোনা ভাইরাস৷ এই অতিমারির ফলে মহা সঙ্কটের মুখে পড়ে ইতালির বাসিন্দারা৷ ফলে স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলি ভাইরাসের বিস্তার নিয়ন্ত্রণে বেশ কয়েকটি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে। হাসপাতালে কোনও বেড খালি নেই৷ ফলে স্বাস্থ্য পরিষেবার ব্যবস্থাগুলি চরম চাপে পড়েছে। বার এবং মদ বিক্রিতে লাগাম টানা হয়েছে৷ কোনওরকম যোগাযোগ ব্যবস্থা যেখানে সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকে না, তার ওপরও নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে৷
বিদ্যালয়গুলি ক্লাস পরিচালনা করতে বিশেষ নিয়ম তৈরি হয়েছে এবং অনলাইন শিক্ষার প্রচার করা হচ্ছে। জনসমক্ষে মদ খাওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যদিও গত সপ্তাহে ইতালিতে দৈনিক সংক্রমণ ছিল রেকর্ড সংখ্যক, তবুও সরকার আগের মতো পুনরায় লকডাউনে যাওয়ার পক্ষে নয়৷ এই সংকট কাটাতে বিকল্প ব্যবস্থাগুলির দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirus, COVID19