#তমলুক: মন্দির খোলা থাকলেও আজ, অক্ষয় তৃতীয়ার পূণ্য দিনে একান্ন পীঠের অন্যতম সতীপীঠ তমলুকের দেবী বর্গভীমা মন্দিরে হালখাতা পুজো পাঠে সেভাবে অংশ নিলেন না ব্যবসায়ীরা।
৫১ সতীপীঠের অন্যতম পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের মা বর্গভীমার মন্দিরে প্রতি বছরই অক্ষয় তৃতীয়ার দিনে ভিড় জমান পুণ্যার্থী ও ব্যবসায়ীরা।
তমলুকের এই সতীপীঠে পড়েছিল সতীর বাম পায়ের গোড়ালির অংশ। দেবী সেখানে নানা রূপে পূজিতা হন। সেই মন্দিরেই অক্ষয় তৃতীয়া মানে বাড়তি তৎপরতা। করোনার কারণে এবার সেই মন্দিরেই অনাড়ম্বর পরিবেশই দেখা গেলো। করালবদনাং মুক্তকেশী, মুণ্ডমালা বিভূষিতাম। গর্ভগৃহ থেকে ভেসে আসে মন্ত্র। শক্তি আর ভক্তির মিশেলে এক অপরূপ মাহাত্ম্য। মা বর্গভীমার আরাধনার সেটাই অন্যতম বৈশিষ্ট্য। পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের বর্গভীমা মন্দিরের পরতে পরতে জানা-অজানা অনেক ইতিহাসই জড়িয়ে রয়েছে। ইতিহাস বিজড়িত মন্দিরে শুক্রবার শুভ অক্ষয় তৃতীয়ার পুজো হলো নিয়ম নিষ্ঠা মেনেই।
আংশিক লকডাউন থাকার ফলে এমনিতেই মানুষজন বাড়ি থেকে কম বেরোচ্ছেন। পুণ্যার্থীদের ইচ্ছা থাকলেও করোনার বাড়বাড়ন্তের কারণে ব্যবসায়ীদের অনেকেই হাল খাতার পূজো দেননি। প্রতিবছর যেখানে সকাল থেকে পুজো দেওয়ার জন্য লম্বা লাইন দেখা যেতো, এবছর সেখানে মন্দির চত্বর ফাঁকাই। হাতে গোনা কিছু মানুষ পুজো দিতে আসেন বর্গভীমা মন্দিরে। যাঁরাই এসেছিলেন, তাঁরা সবাই মায়ের কাছে একটাই প্রার্থনা করে যাচ্ছেন- 'মা, দ্রুত করোনামুক্ত করো পৃথিবীকে!'
Sujit Bhoumiikনিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirus