#ত্রিশূর: আক্কা ভারত সাক্ষী থেকেছে তার ফুটবল নৈপুণ্যের। কৃশানু দে-র পর ওর পায়ে কথা বলতে ফুটবল। সবুজ গালিচায় বল পায় ফুল ফোটাতেন কেরালাইট। দেশের শেষ শিল্পী ফুটবলার মানেই এখনও চোখ বন্ধ করে ভেসে ওঠে আইএম বিজয়নের মুখ।
ফুটবল ছাড়ার পর কেরল পুলিশে নাম লিখিয়েছেন। মালায়লম সিনেমায় নিয়মিতভাবে দেখা যায় বিজয়ন-কে। সিলভার স্ক্রিনে খলনায়কের ভূমিকায় অভিনয় করে সাড়া ফেলে দেওয়া আইএম বিজয়ন রিয়াল লাইফে কিন্তু একেবারে নায়কের ভূমিকায়। করোনা কবলিত বিপর্যয়ের দিনগুলোতে ভারতীয় ফুটবলের কালো হরিণ নতুন ভূমিকায় একেবারে যেন করোনা যোদ্ধা।
দেশজুড়ে প্রশংসিত কেরলের করোনা মডেল। বিপর্যয়ের দিনগুলোতে তারিফ পাওয়ার যোগ্য প্রাক্তন ভারত অধিনায়কের নতুন ভূমিকা। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আটকে রয়েছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। ব্যতিক্রম নয় বিজয়নের রাজ্য কেরলও। দক্ষিণের এই রাজ্যের ত্রিবান্দ্রম, কোচি, কালিকট, ত্রিশূরের মত জায়গায় এখনও আটকে রয়েছেন ভিন্ন রাজ্যের হাজার শ্রমিক। তাদের সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছেন ভারতীয় ফুটবলের নয়ের দশকের পোস্টার বয়।
ত্রিশূরে আইএম বিজয়নের বাড়ির কাছেই আটকে পড়েছেন কিছু পরিযায়ী শ্রমিক। কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় রোজগার শূন্য শ্রমিকরা। দু’বেলা খাবার পর্যন্ত জুটছে না ঠিক করে। কালো হরিণের কানে খবর পৌছতেই বন্ধুদের নিয়ে অসহায় মুখগুলোর দুর্দশা ঘোচাতে আসরে নেমে পড়েছেন আইএমভি। রোজ দু’বেলা নিজেরাই খাবার বানাচ্ছেন আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য। খাবার বানানোয় হাত লাগিয়েছেন খোদ আইএমভি। রোজ দু'বেলা শ'খানেক শ্রমিকের জন্য পরোটা আর সবজি বানিয়ে পৌঁছে দিচ্ছেন আটকে পড়া অসহায় মুখগুলোর ত্রাণ শিবিরে।
দেশের হয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ৬৬ ম্যাচে প্রতিনিধিত্ব করা বিজয়নের মানবিকতা ও আন্তরিকতা দেখে এগিয়ে এসেছেন একসময়ের সতীর্থ ও স্থানীয় আরেক প্রাক্তন ফুটবলার এম সুরেশ। দেশের জার্সিতে ২৯ গোল করা আইএমভি কেরালা পুলিশ, চার্চিল, এফসি কোচি, জেসিটির মতো ক্লাবের পাশাপাশি দাপিয়ে খেলেছেন মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গলে। ১৯৯৩, ১৯৯৭ ও ১৯৯৯ - তে ফেডারেশনের বিচারে দেশের বর্ষসেরা ফুটবলার ২০০৩ সালে ভূষিত হন অর্জুন সম্মানে।
PARADIP GHOSH
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirus, IM Vijayan, Lockdown