#বর্ধমান: করোনা আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকায় বর্ধমান শহরে ভিড় নিয়ন্ত্রণে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিল পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন। বর্ধমান শহরের বড়নীলপুর ছোটনীলপুর এলাকা, লোকো এলাকায় আগেই লকডাউন ঘোষণা করেছিল জেলা প্রশাসন। এবার বর্ধমানের খোসবাগান এলাকাও ঘিরে ফেলা হল। হাসপাতালে মুখ থেকে শুরু করে খোসবাগানের পুরোটাই বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে। সব মিলিয়ে শহরে ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্যই এই পদক্ষেপ বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
বর্ধমান শহরে এদিন পর্যন্ত ৩০ জনেরও বেশি বাসিন্দা করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। গত কয়েক দিনে আক্রান্ত হয়েছেন সবচেয়ে বেশি বাসিন্দা। আক্রান্তদের মধ্যে বেশ কয়েকজন চিকিৎসকও রয়েছেন। সে জন্যই শহরের ডাক্তার পাড়া হিসেবে পরিচিত খোসবাগান এলাকায় ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে প্রশাসন। খোশবাগানে চিকিৎসা করাতে এসে বাঁশের ব্যারিকেড দেখে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে অনেককেই। ঘুরপথে খোসবাগানে ঢুকতে হচ্ছে বাইরে থেকে আসা বাসিন্দাদের।
সব মিলিয়ে পুরো শহরে লকডাউন ঘোষণা করা না হলেও শহরের বেশিরভাগ এলাকাই এখন লকডাউনের আওতায় চলে এসেছে বলাই যায়। এমনিতেই করোনা আক্রান্ত ধরা পড়া এলাকাগুলিতে কন্টেইনমেন্ট জোন করে সেখানে লকডাউন পালন করা হচ্ছে। তার ওপর বর্ধমান শহরের ১২,১৩,১৪ নম্বর ওয়ার্ডকে পুরোপুরি লকডাউনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। বর্ধমানের ছ নম্বর ওয়ার্ডের বেশিরভাগ এলাকায় আগামী সাতদিন লকডাউন চালানো হবে বলে ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। এরপর খোসবাগান এলাকা ও তার আশপাশের এলাকাতেও লকডাউন পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে।
এসবের প্রভাব পড়েছে শহরের বাসিন্দাদের মধ্যে। অনেকেই এখন প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে পা দিতে ভয় পাচ্ছেন। রবিবার শহরের রাস্তা একেবারেই ফাঁকা ছিল। বেশিরভাগ দোকানপাট বন্ধ ছিল। করোনা সংক্রমণের আশংকায় সোমবারও তুলনামূলকভাবে রাস্তায় ভিড় কম থাকবে বলেই মনে করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, বাইরে বের হলে অবশ্যই মুখে মাস্ক লাগাতে হবে। সেই সঙ্গে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে যাবতীয় কাজকর্ম করতে হবে।
Saradindu Ghosh
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirus, East Bardhaman