#কলকাতাঃ লক ডাউনের শহরের পথে খুদেদের ছেড়ে যাননি তাদের পথিক-বন্ধু পথিকৃৎ। ফি-দিন তাদের জন্য প্যাকেট ভরে খাবারের সংস্থান করছেন তিনি। বছর চারেক আগে দমদম ক্যান্টক্যান্টন ও তার সংলগ্ন এলাকায় তিনজন পথশিশুকে নিয়ে প্লাস্টিকের ছাউনিতে স্কুল শুরু করেছিলেন দমদমের যুবক। এর পরের কাহিনি রূপোলি পর্দার গল্পকেও হার মানায়। ওই সব পথশিশুদের টানে সরকারি চাকরি ছেড়ে খাবার ডেলিভারি করতে শুরু করেন পথিকৃৎ। বড় বড় রেস্তোরাঁর বাতিল হয়ে যাওয়া অর্ডার পথিকৃৎ নিয়ে আসতেন তাঁর খুদে সঙ্গীদের জন্য। এর মধ্যেই বাড়তে থাকে বন্ধুর সংখ্যাও। তিন থেকে একে একে বাড়তে বাড়তে সংখ্যা এখন ৩৯। প্লাস্টিকের ছাউনির স্কুলও এখন পাকা বাড়ি। তবু থামেননি পথিকৃৎ। এখনও চলছে তাঁর লড়াই। লক ডাউনের শহরে খাবারের ডেলিভারি করছেন। তবে এ তাঁর অন্য লড়াইয়ের জন্য।
করোনা ভাইরাসের হামলায় শহরে লক ডাউন। কপালে ভাঁজ ফেলেছে পথিকৃতের। কী খাবে বন্ধুরা? পথিকৃতের কথায়, "লকডাউন ঘোষণা হওয়ার দিন রাতে এক মুহূর্ত ঘুমোতে পারিনি। ওরা কী ভাবে খাবে? কী-ই বা করবে? পর দিন সকাল থেকেই নিয়মিত গোরাবাজার করে আমি আর ভাই জিনিস কিনে রেশন পৌঁছে দিচ্ছি ওদের। ঠিক করে ফেলেছি, যদ্দিন এই অবস্থা থাকবে, তদ্দিন আমরা ওদের খাবারের সংস্থান করে যাব।" নিজের জমানো পয়সাতেই ওই সব পরিবারের জন্য চাল, ডাল, আটা, তেল এসবের জোগান দিচ্ছেন পথিকৃৎ।
খাবার পেয়ে কৃতজ্ঞতার শেষ নেই খুদে বন্ধুদের মুখেও। পথিকৃতের স্কুলের পড়ুয়া রিয়া দেবনাথ বলেন, "আমাদের নিয়মিত চাল, ডাল, আটা আরও অনেক কিছু দিয়ে যাচ্ছেন। এতেই আমরা অনেক খুশি।"
SHALINI DATTA
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: DumDum, Lock Down, Pathikrit, Street Children