#নয়াদিল্লি: আগামী ১৮ জানুয়ারি থেকে দিল্লির অধিকাংশ স্কুল শুরু হতে চলেছে দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণীর জন্য। ৪ মে থেকে শুরু হবে সিবিএসই বোর্ডের পরীক্ষা। একথা মাথায় রেখেই, স্কুল খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে বোর্ডের তরফে। তবে দিল্লি সরকার জানিয়েছে, স্কুলে উপস্থিতি বাধ্যতামূলক নয়। দিল্লির শিক্ষামন্ত্রী মনীষ সিসোদিয়া এদিন বলেন, অভিভাবকেরা পাঠালে, তবেই স্কুলে আসবে ছাত্র-ছাত্রীরা। কোনও বাচ্চাকেই বাধ্য করা হবে না স্কুলে আসতে। আপাতত স্কুলগুলিকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণীর প্র্যাকটিকাল, প্রজেক্ট এবং কাউন্সেলিং শুরু করার জন্য। প্রজেক্ট এবং অন্যান্য অ্যাকটিভিটির সঙ্গে, যথাযথ প্রস্তুতি এবং প্রি-বোর্ডের সিদ্ধান্ত নিতে হবে স্কুলের প্রধানদের।
স্কুল খোলা হলে, ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ার বিষয়গুলিতে অনেক সমস্যার সমাধান করে দিতে পারবেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। তবে শুধুমাত্র পড়ার বিষয় নয়, স্কুল খোলা হলে মানসিকভাবে অনেকটাই ভাল থাকতে পারবে বাচ্চারা, এমনটাই দাবি দিল্লির শিক্ষা পর্ষদের। এই পর্ষদের তরফে স্কুলগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ইন্টারনাল পরীক্ষা নিয়ে তার নম্বর সিবিএসই-এর ওয়েবসাইটে আপলোড করে দিতে। তবে যে স্কুলগুলি খোলা হবে, তাদের মেনে চলতে হবে কোভিডের নির্দিষ্ট নিয়ম-বিধি। করোনা সংক্রমণকে দূরে রাখতে, মেনে চলতে হবে সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং এবং স্যানিটাইজেশন। এছাড়া পরে থাকতে হবে মাস্ক।
প্রসঙ্গত, গত বছর করোনা সংক্রমণের আবহে তড়িঘড়ি বন্ধ করতে হয়েছিল স্কুল। অতিমারির জেরে, মাঝপথেই বন্ধ হয়েছিল বোর্ডের পরীক্ষা। এরপর, সমস্ত স্কুলের তরফে শুরু হয় অনলাইন ক্লাস, যা চলছে এখন পর্যন্ত। এই পরিস্থিতিতে, বোর্ড বাধ্য হয়ে কমিয়ে দিয়েছে দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণীর সিলেবাস।