#শিলিগুড়ি: উত্তরবঙ্গে আক্রান্তের দিক থেকে শীর্ষে শৈলশহর! আর পুরসভার সংযোজিত জলপাইগুড়ি জেলার ১৪টি ওয়ার্ড ধরলে সংখ্যাটা আরও বেশী। স্বাভাবিকভাবেই বাড়ছে উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা! নতুন করে শৈলশহর দার্জিলিংয়েও মিলেছে আক্রান্তের খোঁজ। মাঝে গ্রাফ নামছিল। কিন্তু শুক্রবার দার্জিলিং পুর এলাকাতেই আক্রান্ত ৯ জন! পাহাড়ের বিজনবাড়িতে ৬ জন নতুন করে আক্রান্ত। কার্শিয়ংয়ের সুকনায় আক্রান্তের সংখ্যা ২। আক্রান্তের গ্রাফ অপরিবর্তিত থাকায় পাহাড়ের চার পুরসভা দার্জিলিং, কার্শিয়ং, মিরিক এবং কালিম্পংয়ে লকডাউন চলছে। শনিবার পর্যন্ত চলবে লকডাউন। ফের সময়সীমা বাড়বে কিনা তা নিয়ে কালই বৈঠকে বসছে জিটিএ এবং দার্জিলিং জেলা প্রশাসন। পাহাড়ে উদ্বেগ বাড়ছে। টানা ১৪ দিনের লকডাউনে নতুন করে আক্রান্তের খোঁজ মেলায় বাড়ছে উৎকণ্ঠাও! গত ২৪ ঘন্টায় শিলিগুড়ি পুরসভা এবং পাহাড় মিলিয়ে আক্রান্ত ৭০! গতকাল সংখ্যাটা ছিল অর্ধেকের কাছাকাছি। আজ ফের বাড়লো সংখ্যাটা। এর মধ্যে পুর এলাকায় নতুন করে আক্রান্ত ২৭ জন। পাহাড়ে ১৭ জন। আর শিলিগুড়ির গ্রামীন এলাকায় আক্রান্ত ২৬ জন। যা যথেষ্টই ভাবাচ্ছে প্রশাসনকে। গত কয়েক দিনে দেখা যাচ্ছে পুরসভাকে ছাপিয়ে যাচ্ছে গ্রামীন এলাকা। শুক্রবারও এগিয়ে গিয়েছে গ্রামীন এলাকা।
স্থানীয়দের দাবী, গ্রামে ন্যূনতম স্বাস্থ্য বিধি মানা হচ্ছে না। বাজারঘাট থেকে হাট গিজ গিজ ভিড়! সে আগের টানা আড়াই মাসেও দেখা গিয়েছে। মাস্কের ব্যবহার তেমন নেই বলে অভিযোগ। সচেতনতা প্রচার চলছে, এগিয়ে এসছে সরকারী এবং বেসরকারী বিভিন্ন সংগঠন। তবুও অনড় গ্রামের বাসিন্দারা। আর তাই এবারে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। বিশেষ করে নকশালবাড়ি ব্লকে। আজ নকশালবাড়িতে আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ জন! মাটিগাড়ায় আক্রান্ত ৬ জন, খড়িবাড়ি ব্লকে ৪ জন এবং ফাঁসিদেওয়া ব্লকে ২ জন। গ্রামবাসীরা সজাগ এবং সচেতন না হলে সংখ্যাটা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা নিয়ে চিন্তায় প্রশাসনিক কর্তারা। এদিকে আজও কোভিড জয় করে ঘরে ফিরেছেন ৫৭ জন! যা ভালো দিক। সুস্থ হয়েছেন শিলিগুড়ির প্রাক্তন বিধায়ক তথা উত্তরবঙ্গ মেডিকেল ও শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের রুগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান রুদ্রনাথ ভট্টাচার্যও!
Partha Sarkar