#ভুবনেশ্বর: প্রতিবার অন্তত কয়েক লোকের সমাগম হত এই দিনটাতেই। সামাল দিতে কালঘাম ছুটত পান্ডাদের। করোনা এই ছবিটা বদলে দিয়েছে এক লহমায়। পুরীর জন্নাথমন্দিরে এবার অক্ষয় তৃতীয়ায় চন্দনযাত্রা সারা হল নমো নমো করে। মন্দিরে ঠাঁই হল না সব সেবায়েতদেরও।
পুরীর গজপতি মহারাজা দিব্যসিংহ দেব সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন,.শুক্রবার গোবর্ধনপীঠের শঙ্করাচার্য নিশ্চলানন্দ সরস্বতীর সঙ্গে বৈঠকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবার আর আগের মতো ধূমধাম করে অক্ষয়তৃতীয়া বা চন্দনযাত্রা করা সম্ভব নয়। গজপতি মহারাজা বলেন, "গুরুজী আমাদের বলেন শতাব্দী প্রাচীণ এই সংস্কার থামানো যাবে না। তাই মন্দিরের অন্দরেই হোক চন্দনযাত্রা।" সেই অনুযায়ীই মনোনীত করা হয় বরিষ্ঠ কয়েকজন সেবায়তকে।
পুরীর মন্দিরে প্রতি বছর অক্ষয়তৃতীয়ার দিনে চন্দনযাত্রা উৎসব হয়। এই দিনেই শুরু হয় রথনির্মাণ। পুরো উৎসবটি চলে ৪২ দিন। প্রথম ২১ দিন জগন্নাথ বলরাম সুভদ্রা-সহ পাঁচটি শিবলিঙ্গকে প্রতিদিন নরেন্দ্র তীর্থ জলাধারে নিয়ে যাওয়া হয় মন্দিরের সিংহদরজা দিয়ে। দেবতাদের নৌকোয় করে সান্ধ্যভ্রমণও আয়োজিত হয়ে আসছে কয়েক শতক ধরে। করোনার জেরে সেই প্রথা বদলালেও, ছেদ পড়ল না রেওয়াজে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।