ডিসেম্বর থেকে আঘাত হানা শুরু করে করোনা। দ্রুত ফুসফুসে সংক্রমিত করাই ছিল এই ভাইরাসের অন্যতম চরিত্র। এপ্রিল মাসে সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশানের তরফ থেকে জানানো হয়, আরও ছ'টি করোনা উপসর্গ দেখা যাচ্ছে, তার মধ্যে ডায়েরিয়া, বমিভাব ও মাথাযন্ত্রণা রয়েছে। আর জুলাইয়ের শুরুতে এতটাই জাঁকিয়ে বসেছে এই উপসর্গগুলি যে চিকিৎসকরাও মাঝে মাঝে ধোঁয়াশার মধ্যে পড়ছেন।
চিকিৎসকরা বলছেন ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গেই খুব দ্রুত নিজের জিন গঠন বদলাচ্ছে করোনা ভাইরাস। তার ফলে সংক্রমিতের শরীরে উপসর্গও বদলে যাচ্ছে ঝড়ের বেগে। বেশির ভাগের ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, রোগীর ফুসফুস নয়, আক্রান্ত হচ্ছে তার গ্যাস্ট্রো ইনটেস্টিনাল ট্র্যাক। রোগী বমি করে দুর্বল হয়ে পড়ছেন। ডিহাইড্রেশান হচ্ছে। ক্রমে অক্সিজেন লেভেল কমছে তাঁর শরীরে। এর সঙ্গে ব্লাডপ্রেশার, সুগার কমে মৃত্যু হচ্ছে অনেকের।
সবচেয়ে অস্বস্তিকর বিষয় হল, ডায়েরিয়া হওয়ার ফলে করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তি প্রাথমিক ভাবে বুঝতেও পারছেন না, তিনি মারণ রোগের ফাঁদে পড়েছেন। যখন বুঝতে পারছেন ততক্ষণে সব শেষ।
হায়দরাবাদের চেস্ঠ অ্যান্ড কিং হাসপাতালের চিতিৎসকরা দেখাচ্ছেন, ২০-৩০ জুনের মধ্যে ৬৭টি রোগী এসেছিল তাদের মধ্যে ৩০ জন রোগীরই মৃত্যু হয়েছে কয়েক ঘণ্টায়। তাঁদের কারও শরীরেই চেনা উপসর্গ ছিল না।