হোম /খবর /দেশ /
শরীরে করোনার বিষ, তবু ছাড়েনি চিকিৎসক, তরুণীর শ্লীলতাহানি নয়ডার হাসপাতালে

শরীরে করোনার বিষ, তবু ছাড়েনি চিকিৎসক, শ্লীলতাহানির অভিযোগে তোলপাড় নয়ডার হাসপাতালে

প্রতীকী চিত্র.

প্রতীকী চিত্র.

জানা যাচ্ছে, শ্লীলতাহানির দায়ে অভিযুক্ত এখনও আইসোলেশান ওয়ার্ডেই আছেন। কিন্তু পুলিশ তার বয়ান রেকর্ড করেছে কোভিড প্রোটকল মেনে। সম

  • Last Updated :
  • Share this:

নয়ডা: শরীরে করোনার বিষ। তবু রাক্ষসের বিষ নজর এড়াতে পারেননি তিনি। নয়ডায় কুড়ি বছর বয়সি করোনা রোগীর অভিযোগ, হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে তাঁর শ্লীলতাহানি করেছে স্বয়ং চিকিৎসকই। সোমবার তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে স্থানীয় এক্সপ্রেসওয়ে থানায়।

বিষয়টির তদন্তে নেমে পুলিশকর্তারা বলছেন গোড়ায় গলদ। এই হাসপাতালে আইসোলেশান বিভাগে পুরুষ মহিলাদের একসঙ্গে রাখা হয়েছে। অভিযোগকারিনীর কোভিড উপসর্গ ধরা পড়ার এক দিনের মাথায় উপসর্গ ধরা পড়ে ওই চিকিৎসকেরও। তারা পাশাপাশি বেডেই ছিলেন। এমনিতেই জনবিচ্ছিন্ন আইসোলেশন ওয়ার্ড৷ অভিযোগ, সুযোগ বুঝেই ওই রোগীর শ্লীলতাহানি করেন ওই চিকিৎসক।

নয়ডা পুলিশের অ্য়াসিস্ট্যান্ট ডেপুটি কমিশনার রণবিজয় সিং এদিন বলেন, " ওই মহিলা আইসোলেশন ওয়ার্ডে ছিলে, ওই ওয়ার্ডেই ভর্তি করা হয় এক চিকিসককে।" তিনি আরও জানান, "ওই মহিলার পরিবারেরও তরফে অভিযোগ পেয়েই আমরা তদন্ত শুরু করেছি। "

তবে শুধু অভিযুক্ত নয় হাসপাতাসলকেও কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছেন তাঁরা। রণবিজয় সিংয়ের কথায়, "দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দিয়েছে হাসপাতালও। মেডিক্যাল বোর্ডের সঙ্গে আমরা কথা বলছি, জানতে চাইছি রোগী ভর্তির গাইডলাইন কতটা রক্ষা করেছে তাঁরা।"

জানা যাচ্ছে, শ্লীলতাহানির দায়ে অভিযুক্ত এখনও আইসোলেশান ওয়ার্ডেই আছেন। কিন্তু পুলিশ তার বয়ান রেকর্ড করেছে কোভিড প্রোটকল মেনে। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে, আশ্বাস নয়ডা পুলিশে।

প্রসঙ্গত এই প্রথম নয়, এর আগেও গ্রেটার নয়ডায় করোনা রোগীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে গ্রেফতার হয়ছেন দুই স্বাস্থ্যকর্মী। সে বারও করোনা পরীক্ষার আছিলায় সারদা হাসপাতালে ২০ বছর এক রোগিনীর শ্লীলতাহানি করেন লবকুশ ও প্রবীণ নামের দুই স্বাস্থ্যকর্মী। ঘটনার ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্ত চলছে।

Published by:Arka Deb
First published:

Tags: COVID-19, Cronavirus, Noida